সময় নিউজ বিডিঃ এবছর এখনো পর্যন্ত ৩০শে নভেম্বর আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার শেষ সময়।
বাংলাদেশে আয়কর দেন দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র এক শতাংশ মানুষ। দেশে টিন নম্বরধারী ব্যক্তির সংখ্যা ৪০ লাখের বেশি এবং তা দিনদিন আরও বাড়ছে কিন্তু আয়কর জমার অর্থ সেই অনুপাতে বাড়ছে না। ২০ থেকে ২২ লাখ করদাতা আয়কর রিটার্ন জমা দেন– এসব তথ্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবছর আয়কর রিটার্ন মেলা অনুষ্ঠিত হয়নি।
বেশ কয়েক বছর হল অনেকেই আয়কর মেলার জন্য অপেক্ষা করেন। কিন্তু এবার অনেকেই টিন নম্বর থাকা সত্ত্বেও রিটার্ন জমা দেন নি।
এর ফলে আপনি বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন। জেনে নিন সেগুলো কী এবং তা সমাধানের উপয়।
আয়কর রিটার্ন জমা না দিলে যে কত রকমের ঝামেলা হতে পারে তা অনেকেই জানেন না।
এমনকী আগে করযোগ্য ছিলেন কিন্তু পরে সেরকম আয় আর নেই এমন ব্যক্তিকেও বিপাকে পড়তে হতে পারে।
নাম পরিচয় প্রকাশ না করে একজনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলছি। ঢাকার এক চাকুরিজীবী নিয়মিত কর দিতেন এবং সময়মত রিটার্নও জমা দিতেন।
এক পর্যায়ে বেশ কিছুদিন তার চাকরি ছিল না। বেশ কিছুদিন পর তিনি খুব অল্প বেতনে নতুন যে চাকরি পেলেন তখন আর তিনি করযোগ্য ছিলেন না।
প্রথমত আয় নেই, তারপর আর করযোগ্য নন চিন্তা করে পরপর তিনবছর রিটার্ন জমা দেননি তিনি।
কিন্তু সমস্যা শুরু হল যখন তিনি একটা ব্যবসা দাঁড় করানোর জন্য ট্রেড লাইসেন্স করাতে গেলেন।
“টিন নম্বর যেহেতু ছিল সেটা হালনাগাদ হতে হবে, তা না হলে লাইসেন্স পাওয়া যাবে না। কিন্তু ব্যবসা চালু করতে অনেক সমস্যা দেখে সিদ্ধান্ত বদল করে বিদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা করলাম। সেখানে আরেক ঝামেলা। ভিসার জন্য সর্বশেষ তিন বছরের ট্যাক্স ফাইল চাওয়া হল। তখন আয়কর বিষয়ক প্রফেশনাল কারো কাছে না গিয়ে উপায় ছিল না,” বলেন তিনি।
একজন আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে, শুনানি করে, একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ জমা দিয়ে তবেই তিনি রিটার্ন জমা দেয়ার ঝামেলা মেটাতে পরেছেন।
কিন্তু তারপরও ঝামেলা শেষ হয়নি। সনদ নিতে গিয়ে তাকে দফায় দফায় আয়কর কার্যালয়ে যেতে হয়েছে।
এমন একজনকে পাওয়া গেল যিনি নির্ধারিত সময়ের মাস চারেক পর রিটার্ন দাখিল করতে গিয়ে জানলেন কেন তিনি সময়মত কাজটি করেননি তার জবাব দিতে শুনানি হবে।
শুনানির নোটিস পেয়েছেন কিন্তু এরপর আট মাস পার হয়ে নতুন বছরের রিটার্ন জমা দেয়ার সময় চলে এসেছে তবুও তিনি শুনানির নোটিসেরই জবাব দেননি।
রিটার্ন জমা না দিলে যেসব বিপাকে পড়তে পারেন
ঢাকার একজন আয়কর আইনজীবী মিজানুর রহমান বলছেন, একজন ব্যক্তি রিটার্ন জমা না দিয়ে বা সমস্যা সমাধান না করে তিনি নিজের জন্য বড় ধরনের ঝামেলার পথ তৈরি করছেন।
কী ধরনের ঝামেলা তৈরি হয় তার বর্ণনা দিয়ে মি. রহমান বলছেন, “যদি কোন ব্যক্তি সময়মত আয়কর রিটার্ন দিতে ব্যর্থ হন এক্ষেত্রে অধ্যাদেশ অনুযায়ী এক হাজার টাকা অথবা আগের বছরের ট্যাক্সের দশ শতাংশ জরিমানা করা যাবে। এদুটির ভেতরে যেটি পরিমাণে বেশি সেই অংকটি পেনাল্টি হতে পারে।”
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ
১৯