ঢাবি ছাত্রীর ধর্ষণ মামলায় নূরের দুই সহকর্মী কারাগারে
|
সময় নিউজ বিডিঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীর দায়ের করা ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা মো. সাইফুল ইসলাম ও মো. নাজমুল হুদাকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গ্রেপ্তারের পরদিন সোমবার দুজনকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। দুই দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার তাদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অপরদিকে আসামিদের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। জামিন আবেদনের শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বলেন, “এ দুই আসামি সম্পর্কে রিমান্ড ফেরতের আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা তেমন নতুন কোনো কিছূ বলেননি। সব বক্তব্যই গতানুগতিক।” তিনি বলেন, মামলায় ধর্ষণের অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তাদের একজন হাসান আল মামুনের কথায় এই দুইজন ‘শুধু প্রচারণা চালিয়েছিল’। গত ২৩ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের স্নাতকোত্তরের ওই ছাত্রীর দায়ের করা মামলায় গত ১১ অক্টোবর সাইফুল ও নাজমুলকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। ডাকসুর সাবেক ভিডি নুরুল হক নূরের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল এবং সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা। |