বরিশালের পারাবত-১২ ও চাঁদপুরের লঞ্চে ডাকাতি, আটক দুই!!
|
সময় নিউজ বিডিঃ শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থেকে ছেড়ে আসা চাঁদপুরগামী এমএল শাহ আলী-৪ লঞ্চে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদল যাত্রীদের জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। পুলিশ এই ঘটনায় বিল্লাল হোসেন (৪৫) নামে একজন ডাকাতকে আটক করেছে। সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পদ্মা-মেঘনা নদীর চাঁদপুর সীমান্তবর্তী এলাকা কাচিকাটা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগে রোববার রাত ৮টার দিকে বরিশালগামী পারাবত-১২ লঞ্চের তৃতীয় তলার ৩২৭ নম্বর কেবিনে এ ঘটনা ঘটে। যাত্রীদের হাতে আটক ডাকাত মনসুর আলী শেখ (৫৫) যশোর কোতোয়ালি থানার নূরপুর গ্রামের মৃত আকবর আলী শেখের ছেলে। সদরঘাট নৌ থানার এসআই সহিদুল ইসলাম বলেন, বরিশাল সদর এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম তাঁতিবাজার থেকে ১৭ ভরি স্বর্ণ কিনে পারাবাত-১২ লঞ্চে করে বরিশালের উদ্দেশে রওনা দেন। ওই ব্যবসায়ী কেবিনে আসার পর তিন ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার কাছে অবৈধ স্বর্ণ আছে বলে তল্লাশি শুরু করে। কথামতো স্বর্ণ বের করে দিতে রাজি না হওয়ায় ব্যবসায়ীকে প্রচণ্ড মারধর করতে থাকে ডাকাতরা। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের যাত্রী ও লঞ্চের স্টাফরা এগিয়ে আসে এবং এক ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হয়। অন্য ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এরপরই আজ সকালে চাঁদপুরগামী লঞ্চে ঘটে ডাকাতির এ ঘটনা। শরীয়তপুরের ভোজেশ্বর থানার পাঁচক গ্রামের কোহিনুর বেগম নামে এক যাত্রী সাংবাদিকদের বলেন- তারা একই পরিবারের ৪ জন লঞ্চে ছিলেন। ডাকাত সদস্যরা তাদেরকে জিম্মি করে স্বর্ণের গহনা নিয়ে যায়। এভাবে লঞ্চে থাকা সব যাত্রীর মূল্যবান জিনিসপত্র ২০ মিনিটের মধ্যে স্পিডবোট নিয়ে চলে যায়। নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, লঞ্চে থাকা নৌ-পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জানিয়েছেন তিনি জয়নাল বিল্লাল খান (৪৫) নামে ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হয়। তার বাড়ি নারায়নঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পাইন্দি নতুন মহল্লায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। চাঁদপুর নৌ-থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শাহ আলী লঞ্চটি বেলা ১১টার দিকে চাঁদপুর ঘাটে এসে পৌঁছায়। পরে এসআই জয়নাল ডাকাত সদস্যকে থানায় হস্তান্তর করে। ডাকাতির ঘটনায় লঞ্চের ম্যানেজার আক্তার হোসেন মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আটক ডাকাত সদস্য থানা হেফাজতে রয়েছে।’ |