এমপি পাপুল, স্ত্রী-মেয়েসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা
|
সময় নিউজ বিডিঃ অর্থপাচার ও মানবপাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কুয়েতে গ্রেপ্তার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ এনে মামলা করেছে সিআইডি। মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) পল্টন থানায় মানি লন্ডারিং আইনে এই মামলাটি দায়ের করে সিআইডি। মামলায় ৩৮ কোটি ২২ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৭ টাকা পাচার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন- কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুল, মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান মনির (পাপুলের ব্যক্তিগত কর্মচারী), জেসমিন প্রধান (পাপুলের শ্যালিকা), ওয়াফা ইসলাম (পাপুলের মেয়ে), কাজী বদরুল আলম লিটন (পাপুলের ভাই), গোলাম মোস্তফা (মানবপাচারে সংশ্লিষ্ট জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার)। এছাড়া মামলায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে আসামি করা হয়েছে। সেগুলো হলো- জে. ডব্লিউ লীলাবালী ও জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল। জে. ডব্লিউ লীলাবালীর প্রোপ্রাইটর পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটার পাপুলের ভাই কাজী বদরুল আলম লিটন। এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় এমপি পাপুলের স্ত্রী সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম ও তার মেয়ে ওয়াফা ইসলামকে আগাম জামিন না দিয়ে তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বিচারিক আদালতে তাদেরকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। গত ১১ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকার অর্থ পাচারের অভিযোগে পাপুল ও তার স্ত্রী সংরক্ষিত আসনের এমপি সেলিনাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন-পাপুল, তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও সেলিনার বোন জেসমিন প্রধান। এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচারসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত উপায়ে শত শত কোটি টাকা অর্জন করে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। অনুসন্ধানের পর গত ১১ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে পাপুল ও তার স্ত্রী সেলিনাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পাপুলের মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও সেলিনার বোন জেসমিন প্রধান। অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতের কারাগারে আছেন পাপুল। এদিকে কুয়েতে মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগে করা মামলায় কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন কুয়েতের একটি আদালত। তার বিরুদ্ধে আনা মানবপাচার ও মুদ্রাপাচার এবং ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে কুয়েতের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা হতে পারে তার। |