লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে কুপ্রস্তাব ও চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে পিটালেন ইউপি সদস্য।
এস এম আওলাদ হোসেন, লক্ষ্মীপুরঃ
|
সময় নিউজ বিডিঃ লক্ষ্মীপুরে কমলনগর উপজেলার চরলরেন্সে চাঁদা না পেয়ে প্রবাসী মোসলেহ উদ্দিনের স্ত্রী ছকিনা বেগমকে মিথ্যা অপবাধ দিয়ে বেদম মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা মো. মিজানুর রহমানসহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে রোববার(২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভূক্তভোগী। এ দিকে রোববার বিকেলে ওই ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানকে বাগবাড়ি থেকে জেলা গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অভিযোগ সূত্র ও নির্যাতিত নারী জানান, দীর্ঘদিন ধরে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে ১লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে তাকে কুপ্রস্তাব দেন এ ইউপি সদস্য। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে প্রবাসীর স্ত্রী তার বোনের বাড়ি থেকে মেয়েকে নিয়ে নিজ বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। বাড়ির পাশে আলা উদ্দিনের প্রজেক্টের পাশে পৌঁছালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওৎ পেতে থাকা লিটন ও কামাল উদ্দিনসহ কয়েকজন যুবক মিথ্যা অপবাধ দিয়ে ওই নারীকে আটক করে।পরে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান ও স্থানীয় চৌকিদার তাজুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মিথ্যা অপবাধ দিয়ে বেদম মারধর করে নারীকে বেধেঁ রাখে। পরে থানায় কোন মামলা না করার শর্তে ২টি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন ইউপি সদস্য। পরের দিন সকালে ওই নারীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ইউপি সদস্যের কুপ্রস্তাব ও চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় মিথ্যা অপবাধ দিয়ে তাকে বেধেঁ বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান ও চৌকিদার তাজুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিত ওই নারী। এ ঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান তিনি। তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান নিজের সম্পূক্ততার কথা অস্বীকার করলেও লিটনসহ অন্যরা ওই নারীকে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে পিটিয়েছে বলে স্বীকার করেন। জেলা গোয়েন্দা সংস্থার ওসি মো. ফজলুল করিম জানান, ওই নারী পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সে বিষয়ে ওই ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। |