নতুন ব্যাটিং কোচ কবে আসছেন টাইগারদের?
|
সময় নিউজ বিডিঃ করোনার এই সময়টায় কেউ এক দেশ থেকে আরেক দেশে সহজে যেতে চান না। ভিনদেশি কোচিং স্টাফদের পেশার বাধ্যবোধকতায় অনেক কিছু করতে হয়। তারপরও একটা গা ছাড়া ভাব দেখা যায়। আসার আগে অনেকে নানা টালবাহানা করেন। এই যেমন টাইগারদের স্পিন কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরি সেই করোনার আক্রমণ শুরুর পর থেকে আর ঢাকায় আসেননি। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজেও সাকিব, তাইজুল, মিরাজরা নিউজিল্যান্ডের এই স্পিন কোচকে পাবেন না। এমন কঠিন ও সংকটময় সময়ে একজন নতুন কোচ নিয়োগ দেয়াও সহজ কাজ নয়। আর সেই কোচ যদি হন ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া কিংবা নিউজিল্যান্ড-দক্ষিন আফ্রিকার কেউ; তাহলে তো আরও কঠিন। এই সময়ে তারা নিজ দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে আসবেন না এটাই স্বাভাবিক। তাই সব কিছু ঠিক হওয়ার পরও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নতুন ব্যাটিং কোচ জন লুইস লম্বা সময়ের জন্য দলের দায়িত্ব নিতে চাননি। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান আকরাম খান অকপটেই স্বীকার করেছেন, করোনার মধ্যে কোনো বিদেশি কোচই লম্বা সময়ের জন্য দায়িত্ব নিতে রাজি নন। আজ (বুধবার) দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামতেই মিডিয়ার সামনে নতুন ব্যাটিং কোচ নিয়োগ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ইংলিশ জন লুইসের নাম বলেন বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি চেয়ারম্যান আকরাম খান। তিনি বলেন, ‘ও (লুইস) আসেনি। তবে আশা করছি (লুইস) কাল-পরশুর মধ্যে আসবে।’ আকরাম খান জানিয়েছেন, লুইস আসলে তার সাথে সামনাসামনি কথা বলেই চুক্তির সব কিছু চূড়ান্ত করা হবে। আকরাম যোগ করেন, ‘তবে এখনকার পরিস্থিতিতে লুইসকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পাওয়া যাবে না। করোনার কারণে কেউ লম্বা সময়ের জন্য চুক্তিতে যাচ্ছে না।’ আকরাম খান ইঙ্গিত দিলেন, বিসিবির সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদে নয়, বরং ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ আর নিউজিল্যান্ড সফরে হয়তো ব্যাটিং কোচের ভূমিকায় থাকবেন জন লুইস। ওই দুই সিরিজে তার কাজ দেখা হবে, তার দীর্ঘমেয়াদে চুক্তির প্রশ্ন। আকরামের ভাষায়, ‘ওকে (জন লুইসকে) এখন সামনাসামনি বসে আমরা দেখব। এখন প্রথম দুই-একটা সিরিজ দেখি কেমন করে। তারপর যদি ভালো হয়, আমরা চেষ্টা করব ওকে রাখার।’ আকরাম খান জানান, হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোসহ সবার মতামত নিয়েই তারা জন লুইসকে বাছাই করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের তিন-চারটা লিস্ট ছিল। তার মধ্যে আমরা ওর অভিজ্ঞতা, কোথায় কোথায় কাজ করেছে দেখলাম। এর মধ্যে আমরা দুই-তিনজনকে আলাদা করেছিলাম। পরে কোচের সাথে আলাপ করি। কোচের মতামত নিয়ে এবং আমরা সবাই কথা বলে ওকে নেয়ার সিদ্ধান্তটা নিয়েছি।’ |