বাগমারায় এক কৃষক পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ।
ইসরাত জাহান কনিকাঃ- রাজশাহী
|
সময় নিউজ বিডিঃ জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বাগমারার নরদাশ ইউনিয়নের সাঁইধাড়া গ্রামের এক কৃষক পরিবারকে গত এক সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে বাড়ি থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না এমনকি তার বাড়িতে কোন আত্মীয় স্বজনকেও প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এই ঘটনায় ওই কৃষক বাগমারা থানায় একটি সাধারন ডাইরী করেছেন। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সাঁইধাড়া গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল হক বিগত প্রায় চল্লিশ বছর ধরে তার তার পৈত্রিক বসতভিটার ৩৪ শতক জমিতে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। বর্তমানে ওই জমিতে অংশ রয়েছে এমন ভিত্তিহীন দাবী করে প্রতিপক্ষ বাবলুর হয়ে একই গ্রামের মৃত জাদু মন্ডলের পুত্র জাফর আলী(৪২) মজিবরের পুত্র আয়নাল হক(৪০) আব্দুস সামাদের পুত্র নূরুল ইসলাম(২৬) সহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা মোজাম্মেল হকের পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। তারা মোজাম্মেলের বাড়ির যাতায়াতের রাস্তাটিও বন্ধ করে দেয় । পরে অররোধকারীরা কৃষক মোজাম্মেল হকের বাড়ির রাস্তায় দিনরাত পাহারা বসিয়ে সেখান থেকে কোন লোককে বের হতে এমনকি মোজাম্মেলের কোন আত্মীয় স্বজনকে তার বাড়িতে প্রবেশে চরম বাঁধা সৃষ্টি করে চলেছে। লাঠিসোটা নিয়ে পাহারাদাররা মোজাম্মেল পরিবারকে প্রতিনিয়ত প্রাননাশের ও বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলেছে। এই অবস্থায় মোজাম্মেল পরিবার চরম অসহায় হয়ে পড়েছে। তারা প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী সহ জরুরী ওষধপত্র কিনতেও বাইরে যেতে না পারায় চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে। প্রভাশশালী ওই অবরোধকারীদের নানাবিধ হুমকির ভয়ে মোজাম্মেলকে সহায়তা করতে কেউ এগিয়ে আসছে না। একই গ্রামের কৃষক সেকেন আলী, আজিজুর, জয়নাল সহ ৫/৬ জন কৃষকরা জানান, মোজাম্মেল ওই জমিতে দীর্ঘ চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি হটাৎ তারা ওই জমিতে মালিকানা দাবী করছে। যা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন। কৃষক মোজাম্মেল হক অভিযোগ করে বলেন, প্রতিপক্ষ ওই সব লোকজনকে ভাড়া করে তার উপর অন্যায় জুলুম নির্যাতন শুরু করেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিপক্ষ জাফর আলী অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবী করে বলেন, সেখানে এক প্রতিবন্ধীর জায়গা রয়েছে। মোজাম্মেল তার বোনের কাছে কৌশলে জমি লিখে তাকে বাস্তুহারা করেছে। বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোস্তাক আহম্মেদ অভিযোগ পাওযার বিষয়ে নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |