চসিক নির্বাচনে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতায় এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত।
|
সময় নিউজ বিডিঃ আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত হলো যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হবে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে, তার পরেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে থামিয়ে রাখা যায়নি দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের। তাই নির্বাচনে বিএনপিসহ অন্যান্য প্রার্থীদের বিরুদ্ধে লড়ার আগে নিজ দলের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধেই মাঠে নামতে হয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের। এ নিয়ে সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছিল শুরু থেকেই। সে আশঙ্কাকে সত্য করে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতায় এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। জানা গেছে, চসিক নির্বাচনকে ঘিরে কয়েকদিন ধরে ২৮ নম্বর পাঠানটুলি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর এবং বিদ্রোহী আবদুল কাদের ওরফে মাছ কাদেরের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এর মাঝেই সোমবার রাতে মতিয়ারপোল আবেদিয়া স্কুল সংলগ্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুরের নির্বাচনী প্রচারণার সময় তার সমর্থকরা বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল কাদেরের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আবদুল কাদেরের সমর্থকরা। এ নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন বিদ্রোহী প্রার্থী কাদের। কিন্তু পোস্টার ছেঁড়ার ২৪ ঘণ্টার মাথায় মঙ্গলবার রাত সোয়া আটটায় পাঠানটুলি ওয়ার্ডের মগপুকুর পাড় এলাকায় বিদ্রোহী প্রার্থী কাদেরের সমর্থকদের হামলায় প্রাণ হারান স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী আজগর আলী বাবুল (৫৫)। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল কাদের তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর (প্রতীক রেডিও) সমর্থিত কর্মী মোস্তফা কামাল টিপু, মাহাবুব, ইকবাল, সাহেদ, জাবেদ, ফয়সাল, দেলোয়ারসহ বেশ কয়েকজন সোমবার রাতে কাদেরের নির্বাচনী এলাকা মতিয়ার পুল থেকে কদমতলী পর্যন্ত তার সব নির্বাচনী পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছেন। পাশাপাশি তার নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা ও হামলা চালিয়েছেন নজরুল ইসলাম বাহাদুরের সমর্থকরা। মঙ্গলবার এ উত্তেজনা চলার মাঝেই বিকেলে প্রতিপক্ষের ওপর হামলার জন্য বানানো বেশ কিছু লোহার তৈরি ব্যাডমিন্টন ব্যাট জব্দ করে পুলিশ। পরে রাত সোয়া আটটায় পাঠানটুলি ওয়ার্ডের মগপুকুর পাড় এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলিতে আওয়ামী লীগ কর্মী বাবুল নিহত হন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও এক যুবলীগ কর্মীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নজরুল ইসলাম বাহাদুর নিহত বাবুলকে নিজের কর্মী হিসেবে দাবি করেছেন। সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার রাতভর নগরের ২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল কাদেরসহ ২৬ জনকে আটক করে পুলিশ। |