প্রচারণার শেষ পর্যায়ে ‘ব্যাটলগ্রাউন্ডে’ট্রাম্প ও বাইডেন।
|
সময় নিউজ বিডিঃ হোয়াইট হাউসের জন্য দীর্ঘ, তিক্ত লড়াইয়ের শেষ পর্যায়ে ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ হিসেবে চিহ্নিত রাজ্যগুলোতে প্রচার চালাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও তার ডেমোক্র্যাটিক প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগের দিন সোমবার ট্রাম্প নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভেইনিয়া, ইউসকনসিন ও মিশিগানে প্রচার চালাবেন। আর বাইডেন পেনসিলভেইনিয়া ও ওহাইওতে সমর্থকদের সামনে হাজির হবেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। মঙ্গলবারের নির্বাচনের আগের দিনও জাতীয় জনমত জরিপে বাইডেনের চেয়ে পিছিয়ে আছেন ট্রাম্প। কিন্তু ১৩টি রাজ্যে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর ব্যবধান অল্প, এসব এলকার ভোটারদের মনও দোদুল্যমান। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনায় এসব রাজ্যকে এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এসব ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ এর ইলেকটোরাল কলেজ মিলিয়েই ট্রাম্প এখনও ২৭০টি ভোট যোগাড় করে ফেলার সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছেন, এ সংখ্যাটিই হোয়াইট হাউসের চাবি। সোমবার নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভেইনিয়া ও উইসকনসিনে একটি ও মিশিগানে দুটি জনসভা করবেন ট্রাম্প। আরেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের পর প্রথম এক মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট হওয়া এড়ানোর লক্ষ্যে তিনি টানা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৬ সালে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে এই রাজ্যগুলোতে জয় পেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু এবার এই রাজ্যগুলো বাইডেনের কব্জায় চলে যেতে পারে বলে জরিপে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। মধ্যরাতের পর মঙ্গলবার নির্বাচনের দিন ভোররাতে মিশিগানের গ্র্যান্ড র্যাপিডসে জনসভার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচার শেষ করবেন ট্রাম্প। ২০১৬ সালেও এখানেই নিজের শেষ প্রচার চালিয়েছিলেন তিনি। অপরদিকে বাইডেন ও তার স্ত্রী, তার রানিং মেট কমলা হ্যারিস ও তার স্বামী সোমবার অধিকাংশ সময় পেনসিলভেইনিয়ায় কাটাবেন। রাজ্যটির পিটসবার্গ এলাকায় শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যদের মধ্যে ও আফ্রিকান-আমেরিকান সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচার চালাবেন বাইডেন। সন্ধ্যায় এখানে সংগীত শিল্পী লেডি গাগার ড্রাইভ-ইন র্যালিতেও যোগ দেবেন তিনি। পেনসিলভেইনিয়ায় প্রতিবেশী রাজ্য ওহাইওতেও প্রচার চালাবেন বাইডেন। একসময় এই রাজ্যকে ট্রাম্পের পক্ষের বলে বিবেচনা করা হত, এখানে ২০১৬ সালে জয় পেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু এবারের জরিপে এখানে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে আভাস পাওয়া গেছে। করোনাভাইরাস মহামারীতে যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ ৩০ হাজারের বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে এবং দুই কোটির বেশি লোক বেকার হয়েছেন। ট্রাম্প এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই থেকে সরে এসেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাইডেন। জরিপে দেখা গেছে, এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা ট্রাম্পের চেয়ে বাইডেনকে বেশি বিশ্বাস করছেন। রোববার একনাগাড়ে পাঁচটি রাজ্যে প্রচার চালিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন বলে এসব রাজ্যে চালানো প্রচারে দাবি করেছেন। অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করা ও মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দ্রুত একটি টিকা বিতরণের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।
|