লক্ষ্মীপুরে সমলয়ে চাষাবাদ কর্মসূচির উদ্বোধন
এস এম আওলাদ হোসেন, লক্ষ্মীপুরঃ
|
সময় নিউজ বিডিঃ আধুনিক কৃষি যন্ত্র ‘রাইস ট্রান্সপ্লান্টার’ দিয়ে ধানের চারা রোপণ শুরু হয়েছে লক্ষ্মীপুরে। বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ এলাকার চরভূতা গ্রামে সমলয়ে চাষাবাদ প্রদর্শনীতে বোরো ধানের চারা রোপণের মাধ্যমের এ কার্যক্রম শুরু হয়। কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় যন্ত্রের ব্যবহারে চারা রোপণ পদ্ধতি স্থানীয় কৃষকদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে। সময় ও উৎপাদন খরচ কম হওয়া আর বেশি ফলনের আশাবাদসহ কৃষকদের সমবায়ী মনোভাব করে গড়ে তোলা এবং কৃষি যান্ত্রীকীকরণের লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানান কৃষি বিভাগ। জানা যায়, কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ এলাকার চরভূতা গ্রামে ৫০ একর জমি নিয়ে স্থাপন করা হয়েছে সমলয়ে চাষাবাদ প্রদর্শনী। এই ব্লক প্রদর্শনীতে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ট্রেতে আলফা-২ হাইব্রীড জাতের বোরো ধানের বীজ বোপণ করা হয়েছে। ব্লকের আওতাভুক্ত ৫৮ জন কৃষকের জমিতে ধানের চারা রোপণসহ উৎপাদন পর্যন্ত সকল ব্যায় সরকার বহন করবে। তবে ফসল নেবেন জমির মালিক-কৃষকরা। কৃষকদের মাঝে সমবায়ী মনোভাব গড়ে তোলা, বোরো ফসল চাষে শ্রমিক সাশ্রয় করে উৎপাদন খরচ কমানো, ফসল উৎপাদনে কৃষি যান্ত্রীকীকরণের লক্ষ্য নিয়ে চাষাবাদ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বুধবার দুপুরে স্থানীয় কৃষি বিভাগের উদ্যোগে লক্ষ্মীপুরে সমন্বয়ে চাষাবাদ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ বেলাল হোসেন খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম, ভবানীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল হাসান রনি প্রমুখ। পরে আধুনিক কৃষি যন্ত্র ‘রাইস ট্রান্সপ্লান্টার’ দিয়ে একসঙ্গে ৪টি সারিতে ধানের চারা রোপণ পরিদর্শন করেন অতিথিরা। যন্ত্রের রোপন পদ্ধতি দেখেন স্থানীয় কৃষকরা। এ সময় জেলা প্রশাসক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সমলয়ে চাষাবাদ ও আধুনিক যন্ত্রপাতির প্রয়োগ কৃষি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলে বিশ্বাস করি। এ কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রীর আশা অনুযায়ী কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নে নতুন রূপ আনয়ন করবে। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের সার্বক্ষনিক মনিটরিং থাকবে বলে জানান তিনি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ বেলাল হোসেন খান বলেন, লক্ষ্মীপুরের জন্য এটি নতুন একটি পদ্ধতি। জেলায় আগে ৭০ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হতো। আমরা আশা করি আগামীতে সমবায়ের মাধ্যমে সমলয় চাষ পদ্ধতির মাধ্যমে দুই থেকে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হবে। আমরা উৎপাদন বাড়াতে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছি। এদিকে যন্ত্রের চালক জানান, আগে ৫ জন শ্রমিক যে কাজ করতো তা এখন যন্ত্রের মাধ্যমে ৪০ মিনিটে করা যায়। যন্ত্র দিয়ে এক বিঘা পরিমাণ জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে এখন ব্যায় হয় মাত্র ১শ টাকা। আগে শ্রমিকদেরই দেয়া লাগতো বহু টাকা। |