লক্ষ্মীপুরে মায়ের ভাষায় মাকে চিঠি লেখা প্রতিযোগীতার উদ্বোধন
এস এম আওলাদ হোসেন, লক্ষ্মীপুরঃ
|
সময় নিউজ বিডিঃ লক্ষ্মীপুরে মায়ের ভাষায় মাকে লিখি’ চিঠি লেখা প্রতিযোগীতার উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে তিনজন মমতাময়ী মাকে প্রধান ও বিশেষ অতিথি করা হয়েছে। তারা ভিক্ষা করে অনেক কস্টে সন্তান নিয়ে জীবনযাপন করছেন।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে লক্ষ্মীপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত ‘মায়ের ভাষায় মাকে লিখি’ চিঠি লেখা প্রতিযোগীতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ওই তিন মমতাময়ী মা অতিথি ছিলেন। এ অনুষ্ঠানে তিন মা ছিলেন মূল আকর্ষণ। ভিন্নধর্মী এ অনুষ্ঠানের আয়োজক ভাষার প্রদীপ ও মেঘ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ফাহাদ বিন বেলায়েত। এসময় অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। পরে তাদের সন্তানদের জন্য শিক্ষা উপকরণ তুলে দেয় আয়োজকরা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ৬৫ বছর বয়সী রহিমা বেগম। বিশেষ অতিথি ভিলেন ববিতা রাণী দাস ও শিউলি আক্তার। রহিমা বেগম ও শিউলি আক্তার সদর উপজেলা লাহারকান্দি ইউনিয়নের লাহারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। রহিমা তার বৃদ্ধ মাকে নিয়ে বসবাস করছেন। সংসারে তাদের আর কেউ নেই। স্বামীহারা শিউলি তার ছেলেমেয়েকে নিয়ে অনেক কস্টে দিনাতিপাত করছেন। কষ্টের মধ্যে থেকেও তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে পড়ালেখা চালাচ্ছেন। ববিতা রাণীর স্বামীর বাড়ি রামগতি উপজেলার হাজিরহাট এলাকায়। স্বামী ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকে তিনি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্চানগর এলাকায় এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। ভাষার প্রদীপ ও মেঘ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ফাহাদ বিন বেলায়েত বলেন, আমরা স্বেচ্ছাসেবী। সমাজের অসহায় মানুষদের নিয়েই আমাদের কাজ। তাদের জন্য কাজ করে ইতিমধ্যে আমি জাতীয়ভাবে পুরস্কৃত হয়েছি। এজন্য সমাজের অসহায় মানুষদের হাসি ফোটানোও আমাদের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। সেই থেকেই আমি এ অনুষ্ঠানে তিনজন মমতাময়ী মাকে অতিথি করে প্রতিযোগীতার উদ্বোধন করেছি। আয়োজকরা জানায়, ২০০৭ সাল থেকে ভাষার প্রদীপ সংগঠনের কার্যক্রম শুরু হয়। তখন থেকেই বাংলায় মোবাইল নাম্বার বলতে পারলে ফ্লেক্সিলোড উপহার দিতেন প্রতিষ্ঠাতা ফাহাদ বিন বেলায়েত। এটি ছিল তাঁর ব্যতিক্রম উদ্যোগ। ২০১৪ সাল থেকে তিনি ‘মায়ের ভাষায় মাকে লিখি’ চিঠি লেখা প্রতিযোগীতা নামে আরেকটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগে সূচনা করেন। তখন থেকে প্রতিবছর ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতেই তিনি এ প্রতিযোগীতার উদ্বোধন করেন। মাকে না বলতে পারা কথাগুলো লিখে ছাত্র-ছাত্রীরা মাসব্যাপী ভাষার প্রদীপ সংগঠনের সমন্বয়কের কাছে চিঠিগুলো জমা দেন। তবে বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কাগজ-কলম বিনামূল্যে দিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কার্যক্রমের আয়োজন করেন। পরে চিঠিগুলো পর্যালোচনা করে ১০০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। তবে এবার অফলাইন ও অনলাইনের মাধ্যমে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাকে না বলা কথাগুলো চিঠিতে লিখে ভাষার প্রদীপ ফেইসবুক পেইজ https://www.facebook.com/ |