ময়মনসিংহে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ফের প্রথম স্বামী নিয়ে দ্বিতীয় স্বামী হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ
এস,এম,এ,আব্দুল কাদের,(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি।
|
সময় নিউজ বিডিঃ ময়মনসিংহ শহরের কেওয়াটখালি এলাকায় দ্বিতীয় স্বামী আশিক ইমরান হত্যায় ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার এক চৌকশ পুলিশের অভিযানে স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার প্রথম স্বামীর সহায়তায় দ্বিতীয় স্বামী আশিক ইমরানকে হত্যার ঘটনায় প্রথম স্বামী ও স্ত্রীকে বুধবার গ্রেফতার করেছে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো রাজিবুল ইসলাম রুবেল ও জাকিয়া সুলতানা। গ্রেফতারকৃত পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় স্বিকার করেছে পুলিশ জানিয়েছে।ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার একটি চৌকশটিম এসআই মিনহাজ,এসআই নিরুপমনাগ,এসআই অানোয়ার অভিযান পরিচালনা করে আসামীদের আটক করে। ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন জানান, ময়মনসিংহ নগরীর কেওয়াটখালী এলাকার আঃ রউফের মেয়ে জাকিয়া সুলতানা। পার্শ্ববর্তী বলাশপুরের ফয়জুল মিয়ার ছেলে রাজিকুল ইসলাম রুবেলের সাথে প্রেমের মাধ্যমে বিয়ে হয় জাকিয়া সুলতানার। কিছুদিনের মধ্যেই স্বামীর ঘরে থাকাবস্থায় জাকিয়া সুলতানা নতুন করে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন একই এলাকার আশিক ইমরানের সাথে। বিয়ে করেন আশিক ইমরানকে। আশিকের ঘরে থাকাবস্থায় আবারো প্রথম স্বামী রাজিকুল ইসলাম রুবেলের সাথে চলে মন দেয়া নেয়া। জাকিয়া সুলতানা ও রাজিকুল ইসলাম রুবেল দুজনে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয় তারা আবারো একত্রে ঘর বাধবে। বাধা দ্বিতীয় স্বামী আশিক ইমরান। সে বেচে থাকলে তাদের একত্রে ঘর বাধা হবে না। ওকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে হবে। দুজনের পরিকল্পনা এক আশিক ইমরানকে হত্যা করতে হবে। হত্যার পরিকল্পনায় আগে থেকেই রাজিকুল ইসলাম রুবেল চাকু কিনে নিয়ে আসে। পরিকল্পনা মতে, ১৫ ফেব্রুয়ারী রাতে জাকিয়া সুলতানা তার দ্বিতীয় স্বামী আশিক ইমরানকে কেওয়াটখালী এলাকায় রেললাইনের পাশে ডেকে নিয়ে আসে। সেখানে আগে থেকেই চাকু নিয়ে বসে থাকা প্রথম স্বামী রাজিকুল ইসলাম রুবেল তার শক্র আশিক ইমরানকে পেয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত ও জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আশিক ইমরানের পিতা আলাল উদ্দিন বাদি হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। তারা উভয়েই এ হত্যার দায় স্বিকার করে বলে ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান। তিনি আরো বলেন, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার সাথে আরো কেউ জড়িত কিনা তদন্ত চলছে। |