সময় নিউজ বিডিঃ

আজ পঞ্চম ধাপের ২৯টি পৌরসভায় ভোট।

নির্বাচনী এলাকায় সহিংসতার আশঙ্কা থাকলেও উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বেশ কয়েকটি পৌরসভায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ২৯টি পৌরসভায় সাধারণ ও ৪টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন শুরু হয়েছে।

সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ ভোট বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে। সবকটি পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোট নেওয়া হচ্ছে।

এ ধাপের ২৯টি পৌরসভায় বড় দুই দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এদিকে শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেছেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা আশা করি একটা ফ্রি, ফেয়ার, পার্টিসিপিটারি ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানেই কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে। সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

হুমায়ুন কবীর বলেন, আমাদের নীতিমালা অনুযায়ী কোথায় কতজন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে, কীভাবে হবে এটির একটি গাইড লাইন আছে। সেটা অনুযায়ী আমরা হোম মিনিস্ট্রিকে বলেছি। সে অনুযায়ী উনারা নিয়োগ দিয়েছেন। আমরা আশা করছি, নির্বাচন ভালো হবে।

ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসার মতো পরিবেশ তৈরি করা গেছে কিনা জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, আমরা রিটার্নিং অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন যে সিচুয়েশন ভালো। যেহেতু আমরা এবার সব পৌরসভায় ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করছি সুতরাং ব্যালট পেপার ছেঁড়াছিড়ির কোনো বিষয় নেই। এবার ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হবে। যার ভোট শুধু তিনিই দিতে পারবেন। নির্বাচন উপলক্ষে ব্যাপক আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে মোতায়েন রয়েছে বলে জানান ইসি সচিব।

ইসি জানায়, ১৯ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে নির্বাচনের জন্য ৩১ পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করা হয়। পরে অন্য ধাপ থেকে পঞ্চমে যুক্ত হয় সৈয়দপুর পৌরসভা। অপরদিকে উচ্চ আদালতের রায়ের কারণে যশোর পৌরসভার ভোট স্থগিত করা হয়। ভোটগ্রহণের আগ মুহূর্তে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে ইসি। চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভায় মেয়র ও কাউন্সিলরসহ সব পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পান।

যে ২৯ পৌরসভায় ভোট

যশোরের কেশবপুর; ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ও মহেশপুর; চট্টগ্রামের মিরসরাই, বারইয়ারহাট ও রাঙ্গুনিয়া; কিশোরগঞ্জের ভৈরব; জামালপুরের সদর, মাদারগঞ্জ ও ইসলামপুর; ময়মনসিংহের নান্দাইল; মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর, গাজীপুরের কালীগঞ্জ; রংপুরের হারাগাছ; রাজশাহীর দুর্গাপুর ও চারঘাট; চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল; বগুড়া সদর; জয়পুরহাট সদর; মাদারীপুর সদর ও শিবচর; ভোলার সদর ও চরফ্যাশন; হবিগঞ্জ সদর; চাঁদপুরের শাহরাস্তি ও মতলব; ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর; লক্ষ্মীপুরের রায়পুর এবং রংপুরের সৈয়দপুর পৌরসভা।

এসব পৌরসভায় ২৯১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১ হাজার ২৭০ জন, ৯৭টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৪২ জন এবং ২৯টি মেয়র পদে ১০০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৬২৫টি ভোটকেন্দ্রের ৪ হাজার ২২৯ ভোটকক্ষে ১৩ লাখ ৮৪ হাজার ১৬৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরষ ৬ লাখ ৯৩ হাজার ৯০ এবং মহিলা ভোটার ৭ লাখ ১১ হাজার ৮৫০ জন