সময় নিউজ বিডিঃ লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর-সদরের একাংশ) আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন শামছুল ইসলাম পাটওয়ারী।
শামছুল ইসলাম পাটওয়ারী বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক।
পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসাবে সর্বমহলে সুপরিচিত শামছুল ইসলাম পাটোয়ারী সাধারণ মানুষের কাছে খুব প্রিয়নেতা। এই নেতা তৃণমূল থেকে উচ্চ পর্যায়ে সর্বমহলে জনপ্রিয় একজন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুক্রবার (৫ মার্চ) থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে। বেলা ১১ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ওই কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা যাবে।
সামছুল ইসলাম সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের মৃত মোঃ আবদুল লতিফ পাটওয়ারীর ছেলে। তিনি ১৯৯৮ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (সম্মান) শেষে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ (স্মাতকোত্তর) সম্পন্ন করেন।
ছাত্রলীগের সাথে জড়িত হয়ে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আসেন। রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তার প্রত্যক্ষ ভূমিকা। তিনি ১৯৯৬-৯৮ (দেবাশীষ-স্বপন) কমিটির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আহবায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। পরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি ২০০২-২০০৬ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সংসদ (লিয়াকত-বাবু) কমিটির সদস্য, ১৯৯৮-২০০৫ সালে ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। বশিকপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদকসহ রাজনৈতিক জীবনে তিনি একাধিক পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সামছুল ইসলাম পাটওয়ারী ১৯৯০ পরবর্তী স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের পট পরিবর্তনের পর ১৯৯৩ সালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগর সভাপতি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেই সময়ে তিনি জামায়াত-বিএনপির মিথ্যা মামলার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। এতে তার পারিবার অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে দায়িত্ব পালনকালে রামগঞ্জ থানার করপাড়া ইউনিয়নের বিএনপির যুবদলের নেতার বাড়ী ভাংচুর মামলায় তাকে ৩ নম্বর আসামী করা হয়। ১৯৯৬ খালেদা জিয়ার অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয়া ভূমিকা পালন করেন। ২০০১-২০০৬ বিএনপি ও জামায়াতের আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
২০০৪ সালে বিএনপি জামায়াত কর্তৃক আওয়ামী লীগের সমাবেশে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। সেখানে গুরুতর আহত আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের, সাবের হোসেন চৌধুরী, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, পঙ্কজ দেবনাথ ও তৎকালীন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়েছিলেন তিনি।
জানতে চাইলে সামছুল ইসলাম পাটওয়ারী বলেন, আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পদে ছিলাম। অনেক ত্যাগ আর শ্রম দিয়েছি দলের জন্য।এসব শ্রম ও ত্যাগের মূল্যায়ন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর- সদরের একাংশ) আসনের উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেবে বলে আমার বিশ্বাস।