ফকিরহাট বাজারের নতুন প্রত্যয় নিয়ে বণিক সমিতির সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন- শেখ হেমায়েত উদ্দিন
মোঃ রাকিবুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি।
|
সময় নিউজ বিডিঃ বাগেরহাট জেলার মধ্যে যে কয়েকটি বাজার রয়েছে তার মধ্যে ফকিরহাট বাজার একটি অন্যতম বাজার। এবাজারের অতীত ঐতিহ্যের পাশাপাশি সমস্যার যেন অন্ত নেই। সপ্তাহের রবিবার এবং বুধবার হাট বসে বাজারে। সুপারি, পান এবং কাঁচামালের পাইকারি বাজারকে ঘিরে এই বাজারের মূল ঐতিহ্য। বলা হয়ে থাকে বহু বছর আগে বাজারের মধ্যে অবস্থিত বটগাছ তলা থেকেই এ বাজারের সূত্রপাত।
কেরোসিন এবং লবণ বিক্রয়ের মাধ্যমে বাজারের সূত্রপাত হলেও পরবর্তীতে তা বৃস্তিতি লাভ করতে থাকে। কালের পরিবর্তনে পরিবর্তন ঘটতে থাকে বাজারে ব্যবসায়ী এবং ব্যবসার ধরন। স্বর্ণ ব্যবসা, কামার পট্টি, সুপারি পট্টি, কাপড় ব্যবসায়ী, কাঁচামাল ব্যবসায়ী, পানের হাট, ধানের হাট, জালের হাট, কুমারী এবং বাঁশ ও বেতের তৈরি জিনিসের দোকান, ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দোকান, ফার্মেসি, হার্ডওয়্যার, গো এবং মৎস্য খাদ্যের দোকান, রড সিমেন্ট ও নির্মাণ সামগ্রীর দোকান সহ ছোট-বড় অসংখ্য ব্যবসা এবং দোকান এবাজারের মূল আকর্ষণ। তবে ব্যবসার ধরন অনুযায়ী কিছু কিছু সমজাতীয় ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনের তাগিদে ব্যবসায়ীরা সমিতি তৈরি করলেও ছিলনা বণিক সমিতি। বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি দ্বারাই পরিচালিত হতো বাজার উন্নয়ন ও পাহারার ব্যবস্থা। পূর্বের এই বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির উপর আস্থা- অনাস্থা, পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা-সমালোচনা ছিল অন্তহীন। ঠিক সেই সময়ে বাজারে বিভিন্ন সমস্যার নিরসনের লক্ষ্যে এবং ব্যবসায়ীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ তানভীর রহমান এর সমর্থনে বণিক সমিতির প্রস্তাবনা রাখেন- শেখ হেমায়েত উদ্দিন। বিসমিল্লাহ ফিড মিলস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ হেমায়েত উদ্দিন। একজন সফল উদ্যোক্তা থেকে ফকিরহাট বাজারে অন্যতম একজন ব্যবসায়ী তিনি। বিএসসি পাশ করে কৃষি ব্যাংকে চাকরি করতেন। কর্ম ক্ষেত্রে তার মেধা এবং পরিশ্রমের বদৌলতে অতি অল্প দিনে ব্যাংকের সেকেন্ড অফিসার হয়েছিলেন। চাকুরীর সুবাদে ব্যাংক গ্রাহকদের মাঝে সেবা প্রদানের মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ রাখতে চাননি। চিন্তা করেছেন বৃহৎ পরিসরে এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে। তাই ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিয়ে স্বল্প পরিসরে শুরু করেছিলেন বিসমিল্লাহ ফিড মিলস লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানটির। সদালাপী, মিষ্টভাষী, সুকৌশলী, পরোপকারী শেখ হেমায়েত উদ্দিন তার মেধা এবং পরিশ্রম দিয়ে অতি অল্প সময়ে বৃহৎ পরিসরে গড়ে তোলেন তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি। তার উৎপাদিত পণ্যের সুনাম রয়েছে দেশের বৃহৎ থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাজারে। বর্তমানে শত শত বেকারের কর্মসংস্থান করেছেন তিনি। ব্যবসায়ী মনোভাবের বাইরে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন সামাজিক সব কর্মকাণ্ডে। মাদ্রাসা সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দান এবং অনুদানের মাধ্যমে নিজেকে পরিচিতি লাভ করেছেন একজন দানবীর হিসেবে। অসহায় বিপদগ্রস্ত, বিবাহযোগ্য কন্যার পিতা, টাকার অভাবে সন্তানকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করাতে না পারা পিতা কাউকেই তিনি ফিরিয়ে দেন না তিনি। অধিকার বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো, অন্যায় অবিচার আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি সবসময়ই প্রতিবাদী। আর তারই ধারাবাহিকতায় ফকিরহাট বাজারের ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি এবং সকল জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে বণিক সমিতির মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের সেবা করার উদ্দেশ্যে সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন। আসন্ন বণিক সমিতির নির্বাচন প্রসঙ্গে আলহাজ্ব শেখ হেমায়েত উদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান- অন্যায়ের প্রতিবাদ এবং জনসেবামূলক কাজ তিনি আগে থেকেই করে থাকেন। মসজিদ-মাদ্রাসা সহ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আর্থিক অনুদান প্রদানের মাধ্যমে তিনি নিজেকে শরীক রাখেন। বণিক সমিতির মাধ্যমে ফকিরহাট বাজারের ব্যবসায়ীদের সেবা করার মানসিকতা টা তার একটু ব্যতিক্রম ধরনের। এ নির্বাচনে তিনি চিংড়ি প্রতিক নিয়ে জয়ী হলে ফকিরহাট বাজার কে একটা মডেল বাজার উপহার দিবেন, বাজার ব্যবসায়ী ও এলাকার জনসাধারণ কে। আগামী ২৭ মার্চ ২০২১ চিংড়ি প্রতীকে ভোট দিয়ে তাকে জয়যুক্ত করার জন্য বাজারের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের দোয়া এবং সমর্থন কামনা করেন। তিনি আরো বলেন – নির্বাচনে জয়-পরাজয় ভাগ্যের ব্যাপার। একজন জিতলে আরেকজন পরাজিত হবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে উদ্দেশ্য থাকবে ফকিরহাট বাজার এর উন্নয়ন। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে জয়-পরাজয় কে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ফকিরহাট বাজার কে একটি মডেল বাজার করার জন্য কাজ করে যেতে সকলকে উদার্থ আহ্বান জানান।
|