পটুয়াখালী বাউফলে শশুর বাড়ির অত্যাচারেই অকালে ঝড়ে গেলো তানিয়া আক্তার তমা’র প্রান!!
নিজস্ব প্রতিবেদক পটুয়াখালী।
|
সময় নিউজ বিডিঃ শশুর বাড়ির অত্যাচারেই অকালে ঝড়ে গেলো মোসা: তানিয়ার আক্তার তমা’র (২১) প্রান!! এমনটাই জানিয়েছেন মেয়ের বাবা। তানিয়া আক্তার তমা( ২১),পিতার মোঃনুরুল হক সরদার, তমার বিয়ে হয় ৪ বছর,এবং তাদের একটি (২.৬) বছরের মেয়ে আছেন। আল-আমীন ৩.৫ বছর অব্দি বিদেশ আছেন সংসারে ঝামেলার কথা অনেকবার জানলেও সে বাংলাদেশে আসেনি বরং সেখানে থেকেই বোনদের কথামতো উস্কানি দিতেন বলে মেয়ের বাবা জানান। মেয়ের বাবা আরো বলেন- বিয়ের ২.৫ মাস পরেই আল-আমীন ব্রুনাই চলে যায় এর পরেই শুরু হয় ননদদের অত্যাচার, তমার একটি ননদ ছিলো ডিভোর্সী, বিভিন্ন সময় তমাকে হুমকি দিতো মেরে ফেলার এবং ননদের জামাই মেহেদিও তমাকে মারে, এসব অত্যাচার থেকে মুক্তি দিতে তমাকে বাবার বাড়িতেই রাখা হয় ৩ বছরের অধিক সময়, কিন্তু শশুর বাড়ির লোকেরা তমাকে জোর করে আবার নিয়ে আসে এর পরে আবার পুরনো অত্যাচার সন্দেহ,মারধর, অপমান করা এসব চলতে থাকে, তাকে আবার বাবার বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং তাদের জানিয়ে দেয়া হয় আল-আমীন বাংলাদেশে আসলেই তার সাথে দুই পরিবার বসে কথা বলে তমাকে দেয়া হবে শশুড় বড়ি। কিন্তু ননদরা (৭ অক্টোবর) বেড়ানোর কথা বলে তমাকে জোর করে নিয়ে যায় (শশুড়বাড়ী) ঘটনার বিবরণঃ (১১অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭/৮ ঘটিকায় বাড়ির পাশের (কুমারখালি স্লোব)স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয় সেখান থেকে (বাউফল) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয় সেখান থেকে ডাঃ দেখে রেফার করে শের-এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,বরিশাল এ সেখান থেকে রেফার করে ঢাকা, ১১অক্টোবর রাত ১০ টায় তারা ফোন দিয়ে যানায় শশুর বাড়ির লোক তমা অসুস্থ কিন্তু তমার বাবা হাসপাতালে গিয়ে দেখেন শরীরে চিহ্ন ও আলামত, তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার করা হয়েছে এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পুরোটাই সাজানো নাটক বলে জানান তিনি। তমার বাবা বলেন- ১২ তারিখে সকাল ৭ টায় বরিশাল থেকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে তমা মারা যায় কিন্ত, রুমে পুলিশ কোনোরকম তল্লাশি না করেই রুমে তালাবদ্ধ করে চাবি তমার শশুর বাড়ির লোকেদের কাছে দিয়ে যায়। তমার বাবা মামলা করতে চাইলে শশুর বাড়ির লোকেদের দেয়া মিথ্যা তথ্য নোট করে সেখানে তমার অসুস্থ বাবা মাকে মামলা ফাইল পড়তে না দিয়েই সিগনেচার নেয়া হয় এবং নতুন কোনো মামলা ও নেয়না তারা। পরিশেষে তমার বাবা একটি অপমৃত্যু সাধারণ ডায়রি করেন। তমার বাবা নুরুল হক অভিযোগ করে বলেন আমার মেয়ে (তমা) কে > মোসা: নাজমা (৫০),ডলি (৪০),রিমা( ৩০),সিমা (২৮),মেহেদী (৪৫),খলিল (৫০),শাশুড়ী সাহীদা( ৭০), ও খুন করতে উস্কানীদাতা আল-আমীন(৩৫), কে অভিযুক্ত করেন। তমার বাবা প্রশাসনের সুস্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত খুনিদের দৃস্টান্তমূলক বিচারের দাবি করেন। |