কোভিড থেকে সেরে তিনি ‘আরও শক্তিমান’ভোটের প্রচারে বলেন ট্রাম্প
|
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাস ধরা পড়ার মাত্র দুই সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারে ফিরেছেন সোমবার ফ্লোরিডা রাজ্যের সানফোর্ডে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তিনি মাস্ক ছাড়াই উপস্থিত হন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। চলতি সপ্তাহে কথিত ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ রাজ্যগুলোতে ছয়টি সমাবেশ করার পরিকল্পনা করেছেন ট্রাম্প, তারমধ্যে এদিন প্রথমটি অনুষ্ঠিত হয়।সমাবেশে কয়েক হাজার লোক উপস্থিত ছিলেন। তাদের অধিকাংশেরই মুখে কোনো সুরক্ষা আবরণ (মাস্ক) ছিল না এবং তারা কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ট্রাম্প উপস্থিত সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মাস্ক ছুড়ে দেন এবং বারবার কোভিড-১৯ রোগ থেকে নিজের সেরে ওঠা নিয়ে কথা বলেন। প্রায় এক ঘণ্টার বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, “এখানে উপস্থিত প্রত্যেককে আমি চুমু দেব, আমি পুরুষদের এবং সুন্দরী নারীদের চুমু দেব, আমি আপনাদের বিশাল একটি চুমু দেব।” ফ্লোরিডা সমাবেশের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প ৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে টানা তিন সপ্তাহের নির্বাচনী প্রচারণায় ফিরে আসলেন। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পর্যায়ের ও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের জনমত জরিপে দেখা গেছে, ৭৪ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট তার ৭৭ বছর বয়সী ডেমোক্র্যাটিক প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের চেয়ে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছেন। রয়টার্স বলছে, সানফোর্ডের সমাবেশে ইঙ্গিত মিলেছে যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পরও ট্রাম্প তার প্রচারণার ভঙ্গিতে পরিবর্তন আনেননি; যে ভাইরাসটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৭৮ লাখ লোক আক্রান্ত হয়েছেন, ২ লাখ ১৪ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে আর লাখ লাখ লোক কর্মহীন হয়েছেন। প্রচারণা সমাবেশে সমর্থকদের ও হোয়াইট হাউসের কর্মীদের সুরক্ষা মাস্ক পরতে ও সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে উৎসাহিত না করতে পারার জন্য ট্রাম্পকে দায় দিয়েছেন সমালোচকরা। হোয়াইট হাউসে তার অন্তত ১১ জন ঘনিষ্ঠ সহযোগী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ট্রাম্প সনাফোর্ডে সমাবেশ করার সময় যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি সিএনবিসি চ্যানেলকে বলেছেন, সার্বিকভাবে ফেইস মাস্ক ব্যবহার ও জনসমাবেশ এড়ানো উৎসাহিত করতে না পারলে যুক্তরাষ্ট্র ‘ব্যাপক সমস্যায় পড়বে’। ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের সমাবেশের কয়েক ঘণ্টা আগে হোয়াইট হাউস জানায়, পরপর কয়েকদিনের পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস নেগেটিভ এসেছে এবং তার মাধ্যমে অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর কোনো ঝুঁকি নেই। |