জেলেদের আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করবে সরকার–মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।
মোঃ মাসুম বিল্লাহ কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
|
সময় নিউজ বিডিঃ মৎস্য সম্পদের সমৃদ্ধি অর্জনে মৎস্য অহরণ ও বিপণনের বাঁধাসহ এ পেশায় সম্পৃক্তদের আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করছে সরকার। এর সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকলের সুবিধা নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জেলেদের নিবন্ধন তালিকা হাল নাগাদ করা হচ্ছে। আবরোধকালীন সময়ে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি অন্যান্য সুবিধা প্রদানের কথা ভাবছে সরকার। সোমবার দুপুরে পটুয়াখালীর মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য বন্দরে দুটি মৎস্য অবতরণকেন্দ্রের উদ্ভোধনের সময় এ কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের অর্থায়নে নির্মিত আলীপুর ও মহিপুরে দু’টি মৎস্য অবতরণ ও বাজারজাত কেন্দ্র উদ্বোধনের সময় মন্ত্রী উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। এর আগে মন্ত্রী কলাপাড়ায় মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ও নদী উপকেন্দ্র কলাপাড়ায় নবনির্মিত তিনতলা অফিস কাম গবেষণাগার ভবনের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএফডিসির চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব কাজী হাসান আহমেদ, সচিব মুহাম্মদ হরুন-অর-রশীদ, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক জামাল হোসেন মজুমদার, বিএফডিসির পরিচালক (অর্থ) মঞ্জুর হাসান ভুইয়া, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম রাকিবুল আহসান, কলাপাড়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহম্মেদ আলী, কলাপাড়া পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার, মৎস্য গবেষণা ইনইস্টটিউট কলাপাড়ার উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। বাংলাদেশ উপকূলে সী উইড চাষ এবং সী উইড জাত পণ্য উৎপাদন গবেষণা শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কলাপাড়ায় ইনস্টিটিউটের নদী উপকেন্দ্রে অফিস কাম গবেষণাগার ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এদিকে, মহিপুর এবং আলীপুরে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র উদ্বোধনকে ঘিরে জেলে ও ট্রলার মালিকসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে মহিপুরে এক একর ৯ শতক জমির ওপর এবং ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আলীপুরে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। দু’টি অবতরণ কেন্দ্রে রয়েছে ৪০ কক্ষের আড়ত ভবন। ১০ হাজার বর্গফুটের একটি করে অকশন শেড। দুই হাজার বর্গফুটের একটি করে প্যাকিং শেড। একটি করে পর্যবেক্ষণ কক্ষ। একটি করে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র। ১০ টনের উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বরফকল। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবন। একটি করে পাম্প হাউস। দু’টি করে নিরাপত্তা কক্ষ। একটি করে গণসৌচাগার। সাত হাজার বর্গফুট আয়তনের ট্রাক পার্কিং এরিয়া। একটি করে গ্যাংওয়ে ও পন্টুন নির্মাণ করা হয়েছে। তবে আলীপুর অবতরণ কেন্দ্রে দু’টি অকশন শেড বেশি নির্মাণ করা হয়েছে। দু’টি অবতরণ কেন্দ্রে দুইজন ব্যবস্থাপকসহ প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। রয়েছে চারজন বরফকল অপারেটর। এই দু’টি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র চালু হওয়ায় জেলেরা আহরিত মাছের গুণগতমান পরীক্ষা করে বাজারজাত করতে পারবেন। এছাড়া মাছ বাছাইকরণ, গ্রেডিং করা, পাইকারি বিক্রির সুবিধা, প্যাকিং সুবিধা ছাড়াও ট্রাকে মাছ পরিবহন করে দেশের বিভিন্ন মোকামে বিক্রি করতে পারবেন। যানবাহন চলাচলের জন্য মহিপুরে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ৮’শ মিটার আরসিসি সড়ক এবং আলীপুরে ৭৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ৪ ’শ মিটার সড়ক নির্মাণ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। |