নিউজ ডেস্ক : পিরোজপুরের এহসানের গ্রুপের ১৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসতের ঘটনায় এক গ্রাহকের দায়ের করা মামলায় নাজিরপুরে পিবিআইর তদন্ত টিম। শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) পিবিআইর দুই সদস্যের একটি তদন্ত টিম যান নাজিরপুরে ।
জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাতিলাখালী গ্রামের মো. ছালেক শেখের ছেলে ভুক্তভোগী গ্রাহক মো. এস্রাফিল শেখ বাদী হয়ে গত ১৭ অক্টোবর পিরোজপুর জেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এহসানে জমা দেয়া টাকা আত্মসতের অভিযোগ করে সংস্থাটির উপজেলা মাঠ কর্মী মো. সাঈদুর রহমানকে প্রধান করে তার পরিবারের ৩ সদস্যের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিকেশন (পিবিআই) এর কাছে প্রেরন করেন।
দায়ের হওয়া মামলা সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগকারী ওই গ্রাহক সহ তার পরিবারের ৪ জনের জমা দেয়া ৭ লাখ ৮৮হাজার ৬শত টাকা আত্মসত করেছেন মাঠ কর্মী সাইদুর রহমান।
তবে অভিযুক্ত সাইদুর রহমানে দাবী ওই গ্রাহক তার আমানত নিজেই এহসানের জেলা অফিসে গিয়ে জমা দিয়েছেন। আর অফিস তাকে সে মর্মে কাগজ-পত্র প্রদান করেছেন। তিনি আরো জানান, এহসানে আমি (সাইদুর) একজন মাঠ কর্মী মাত্র। আমি সহ আমার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরাও ভুক্তভোগী। তাদের প্রায় ১০ লাখ টাকা জমা রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলার সদরের ভুক্তভোগী গ্রাহক মো. আবু বকর ফরাজী জানান, সংস্থাটির পরিচালক মো. রাগীব আলীর উদ্যোগে আয়োজিত এক মাহফিলে সুদ মুক্ত মুনফা দেওয়ার কথা বলা হয়। ওই মাহফিল শুনে সংস্থাটির অফিসে গিয়ে তার (আবু বকর) পরিবারের প্রায় ২০ লাখ টাকা সংস্থাটিতে জমা দেন। কয়েক মাস লাভও যথাযথ ভাবে পেলেও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। তিনি আরো জানান, জমা দেয়া ওই টাকা আত্মসতের জন্য সংস্থাটির চেয়ারম্যান দায়ী, মাঠকর্মী নন। একই তথ্য জানান ভুক্তভোগী মো. ফাইজুল হাসান হাওলাদার সহ স্থানীয় বিভিন্ন গ্রাহকরা।
এ ব্যাপারে পিবিআই’র তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বায়েজিদ হোসেন জানান, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষ হলে রিপোর্ট পাওয়া যাবে।
জানা গেছে, উপজেলার প্রায় অর্ধশত মাঠ কর্মীর মাধ্যমে সহস্রাধীক গ্রাহকের শতকোটি টাকা আমানত হিসাবে গ্রহন করছে সংস্থাটি। আমানত রাখার প্রথম দিকে কয়েক মাস গ্রহকদের মুনফা দিলেও পরে তা বন্ধ করে দেন। সংস্থাটি ২২হাজার কর্মীর মাধ্যমে পিরোজুপর, বারিশাল, গোপালগঞ্জ, পটুয়াখালী, বরগুনা, খুলনা ও যশোর সহ দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রায় লক্ষাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে আমানত হিসাবে নেয়া প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসৎ করে। ওই টাকা আত্মসতের অভিযোগে এক গ্রাহকের দায়ের করা মামলায় গত ৯ সেপ্টেম্বর সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাওলানা রাগীব সহ তার ৩ জনকে গ্রেফতার করেন র্যাব।
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ১২