নিউজ ডেস্কঃ ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামে একটি লঞ্চে শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
এসময় দগ্ধ হয়ে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছে আরও ১৫০ জন। দগ্ধদের মধ্যে ৭০ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ৭ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ণ এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন ৬জন। আহতদের বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিতসা দেওয়া হচ্ছে।
লঞ্চের যাত্রীরা জানায়, রাত তিনটার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর দিয়াকুল নামক স্থানে এলাকায় বিকট বিস্ফোরণে লঞ্চের পিছনের অংশে আগুন লেগে যায়। মূহুর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে। এসময় অনেক যাত্রী প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাপ দিয়ে আতœক্ষার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় বরিশাল ও ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট তিন ঘন্টা চেষ্টার পর সকাল সাতটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নৌ পারিবহন মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও ফায়ার বিগ্রেডসহ তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক (বরিশাল) কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, তাদের ৫টি ইউনিটের তিন ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। এ ঘটনায় আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ত্রিশ জনের দেহ ও সুগন্ধা নদী থেকে নয়জনসহ মোট ৪০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, দাফন কাফনের জন্য নিহততের প্রত্যেক পরিবারকে প্রাথমিক ২৫ হাজার টাকা করে দিবে জেলা প্রশাসন।
উদ্ধার করা লাশগুলো ঝালকাঠি সিটি মিনিপার্ক থেকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে মর্গে শনিবার সন্ধ্যায় নেয়া হয়েছে। সেখান থেকে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রি খানিদ মাহমুদ চৌধুরী বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঝালকাঠির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ৯