কলাপাড়ায় রেঞ্জ কর্মকর্তার উদাসীনতায় জব্দ করা গাছ আত্মসাতের অভিযোগ।
মোয়াজ্জেম হোসেন কলাপাড়া।
|
কলাপাড়া(পটুয়াাখালী)প্রতিনিধি।। বঙ্গোপসাগরে ভেসে আসা বিশাল আকৃতির একটি গাছ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে গঙ্গামতি এলাকার সেলিম গাজীর বিরুদ্বে। সাগরে ভেসে আসা জেলের জালে আটকা পড়া ওই গাছটি স্থানীয় এক জেলের কাছ থেকে শুক্রবার জব্দ করেছে বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জ। শনিবার দুপুরের দিকে সংশ্লিস্ট জেলেসহ স্থানীয়রা গাছটি আত্মসাতের এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে গনমাধ্যমকে এ সংক্রান্ত তথ্য অবহিত করেন ।
ধুলাাসার ইউনিয়নের গঙ্গামিত এলাকার জেলে রশিদ ফরাজী জানান, শুক্রবার গঙ্গামতি সৈকত থেকে প্রায় ১০কিলোমিটার গভীর সাগরে মাছ শিকারের সময় তার জালে আটকা পড়ে একটি বিশাল আকৃতির একটি গাছ। প্রথমে ভয় পেলেও কিছু সময় পর বুঝতে পারেন ওটি একটি বিশাল আকৃতির গাছ। পরে ছোট ট্রলার নৌকায় বেঁধে গাছটিকে উপকূলে এনে স্থানীয়দের সহায়তায় গাছটিকে পাড়ে তুলে আনেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৩৪ ফুট লম্বা ও ৬ ফুট প্রস্থের গাছটি অন্তত: দীর্ঘদিন নোনা পানিতে ভেসে থাকার কারন শ্যাওলাসহ নোনা ধরে গেছে। স্থানীয়দের ধারনা এটি অর্জুন গাছ। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২০ হাজার টাকা। তবে বনবিভাগ গাছটিকে গর্জন হিসাবে সনাক্ত করেছে। সংবাদ পেয়ে মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা এসে গাছটিকে জব্দ করে একই এলাকার রত্তন গাজীর পুত্র সেলিম গাজীর কাছে জিম্মায় রাখেন। এসময় ছেড়া জালসহ গাছটি টেনে আনার ক্ষতিপুরন বাবদ রশিদ গাজীকে ৮ হাজার টাকা প্রদান করে সেলিম গাজী। জিম্মাদার সেলিম গাজী আত্মসাতের উদ্দ্যেশে গাছটিকে ধুলাসর ইউনিয়নের নতুন পাড়া এলাকার দুলালের স্ব-মিলে নিয়ে চেরাই (কাটা হয়েছে) করেছে।
এবিষয়ে জিম্মাদার সেলিম গাজী বলেন, রেঞ্জ কর্মকর্তার নির্দেশে দুলালের স্ব-মিলে গাছটি রাখা হয়েছে। গাছটি কেন কেটে টুকরো করা হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।
বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, আমি গাছটি জব্দ করে জিস্মায় দিয়েছি। গাছটি কাটা হয়েছে কিনা এখনো আমি দেখিনি, এখানে দায়ভার জিম্মাদারের। তবে সে আত্মসাৎ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
|