পৌর নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মেয়র পদে ৬১ প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র তুলে দিয়েছে বিএনপি।
‘অবাধ্য’ কম তাই ফুরফুরে বিএনপি!
|
সময় নিউজ বিডিঃ পৌর নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মেয়র পদে ৬১ প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র তুলে দিয়েছে বিএনপি। সম্প্রতি প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলের নির্দেশনা মানায় দ্বিতীয় ধাপেও দলটিতে বিদ্রোহী প্রার্থী একেবারেই কম। ফলে বেশির ভাগ পৌরসভায় একক প্রার্থী দিতে পেরেছে দলটি। তবে কয়েকটি স্থানে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল হওয়ায় জেলার শীর্ষস্থানীয় নেতাদের এ বিষয়ে সাংগঠনিক কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তার প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে। জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পরামর্শে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এবার স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য একটি দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেটি মেনেই এবার তৃণমূল থেকে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সুপারিশ করা ব্যক্তিকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র শুধু সই করেছে। ফলে প্রতিবারের মতো এবার বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। তার পরও যাঁরা বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কী ধরনের সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে ব্যাপারে জেলা নেতাদের কাছে সুপারিশ চাওয়া হয়েছে। সেই আলোকে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেবে। জানা গেছে, আগামী ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠেয় ৬১টি প্রার্থীর বিপরীতে ৫৫টি মেয়র পদে বিএনপি তালিকা দেয়। বাকিদের ব্যাপারে কোনো দিকনির্দেশনা দেয়নি দলটি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিনাজপুরের বিরামপুরে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে পৌর বিএনপির সভাপতি মো. হুমায়ন কবিরকে। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে সেখানে রয়েছেন পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আজাদুল ইসলাম আজাদ। সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়ায় মনোনয়ন পেয়েছেন মো. আজাদ হোসেন। এখানে বিদ্রোহী আছেন বেলাল হোসেন। পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মো. আব্দুল কাদের দলীয় সমর্থন পেলেও তাঁর মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিশোরগঞ্জ সদরে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইসরাইল মিঞা। সাবেক মেয়র আবু তাহের সেখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে তাঁর মনোনয়ন ইসি বাতিল করেছে।
|