সময় নিউজ বিডিঃ পিরোজপুরে গভীর রাতে আসামী গ্রেপ্তার করতে গিয়ে আসামী ও সন্ত্রাসীদের হামলায় সদর থানার ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। রোববার গভীর রাতে সদর উপজেলার কুমারখালীর সিকদার বাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় পুলিশ। এ ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মো. আজাদ হোসেন জানান, স¤প্রতি সিভিল সার্জন অফিসের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসি ক্যামেরা) চুরির ঘটনার ঘটে। রোববার (২৪ জানুয়ারী) রাত ২টার দিকে পুলিশ ওই চুুরির মামলার আসামী মেহিদী হাসান সিকদারকে (২৭) ওরফে হাসান সিকদারকে গ্রেফতার করতে কুমারখালী এলাকায় যায় । এ সময় ওই এলাকার ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এসময় অভিযানে থাকা এসআই (উপ-পরিদর্শক) সৈকত হাসান সানি, এসআই (উপ-পরিদর্শক) মাহমুদুল হাসান, এএসআই (সহ উপ-পরিদর্শক) সাইফুল ইসলাম, এএসআই (সহ উপ-পরিদর্শক) খায়রুল হাসান ও পুলিশ সদস্য মারুফ হোসেনসহ পাঁচ জন তাদের হাতে আহত ও জখম প্রাপ্ত হন। হামলায় গুরুতর আহত পুলিশের এএসআই মো. খায়রুল হাসান, পুলিশ সদস্য মারুফ হোসেন ও এএসআই শাওন দাস জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইন চার্জ মো. নুরুল ইসলাম বাদল জানান, এ ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হল- মেহেদী হাসান সিকদার ওরফে হাসান সিকদার (২৭), পিতা আনোয়ার হোসেন সিকদার, সোহেল সিকদার (৪০) পিতা সাহা সিকদার, সৌরভ (২০) পিতা মারুফ খান, রেজাউল সেখ (২৫) পিতা আবুল বাসার সেখ, শুভ (২০) পিতা সোহেল সিকদার, জুয়েল কাজী (২৫) পিতা আবুয়াল কাজী। এসব আসামীদের সকলের বাড়ি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কুমারখালী এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া, আসামী ওসমান (৩০) পৌরসভার নরখালী এবং এবং শাওন দাস (২২) পিতা শিবু দাস, শেখ পাড়া, পৌরসভার বাসিন্দা।
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তারেক আজিজুল্লাহ জানান, রাত ২ টার পরে আহত ৫ পুলিশ সদস্যকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় এবং তাদের মধ্যে ২ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এছাড়া ২ জন আসামীকেও আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়।
এ ঘটনায় সোমবার এসআই (উপ-পরিদর্শক) মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে ১৬ জনকে এজাহার ভ ূক্ত এবং ৩৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা রুজু করেছেন।
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ১২