কিশোরীকে ধর্ষণ করলো বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে।
|
সময় নিউজ বিডিঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় প্রেমের সর্ম্পক করে এক কিশোরীকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের এক পর্যায়ে সে পাঁচ মাসের অন্তঃস্বত্তা পড়লে বিষয়টি এলাকায় জানাজানির কারণে গ্রাম ছাড়া ঐ ধর্ষণকারী যুবক এবং কলঙ্ক বহনকারী কিশোরী ও তার পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নারিকেলতলা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নারিকেলতলা গ্রামের আকলুছ মিয়ার লম্পট ছেলে মো. জামিল মিয়া তার পাশের ঘরের এক কিশোরীকে বিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সর্ম্পক স্থাপন করে দীর্ঘদিন ধরে ঐ কিশোরীর সাথে অবৈধ মেলামেশার এক পর্যায়ে কিশোরীটি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্তা হয়ে পড়লে ঘটনাটি এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে ধর্ষণকারী যুবক জামিল মিয়া ও তার পিতা আকলুছ মিয়া গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান। অপরদিকে লোক লজ্জার ভয়ে ঐ কিশোরী ও তার পরিবারের সদস্যরা ও আত্মগোপনে চলে যান। তবে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার বেশ কয়েকজনের সাথে আলাপকালে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নারিকেলতলা গ্রামের আকলুছ মিয়ার ছেলে মো. জামিল মিয়ার স্বভাব চরিত্র খারাপ হওয়ার কারণে গ্রামের অনেক যুবতীদের প্রায় সময়ই রাস্তাঘাটে একা পেয়ে ইভটিজিং করে আসছিল। একপর্যায়ে তার পাশের ঘরের ঐ গরীরের কিশোরীর দিকে কু-দৃষ্টি পড়ে জামিলের। সে ঐ কিশোরীকে বিভিন্নভাবে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্পর্ক স্থাপন করে একাধিকবার ধষর্নের ফলে মেয়েটি গর্ভবর্তী হয়ে পড়ে। কিশোরীটি বর্তমানে পাচঁমাসের অন্তঃসত্তা। এদিকে গর্ভের সন্তানটি নষ্ট করার জন্য ধর্ষনকারী জামিল মিয়া,তার পিতা আকলুছ মিয়া, ধর্ষণকারীর চাচাতো ভাই শিবলু ও নুরুজ্জামান মিলে ধর্ষিতা ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে প্রাণে মারার হুমকিধমকি দিয়ে আসছে। ফলে কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা নিরুপায় হয়ে ধর্ষণকারীদের ভয়ে ও চাপে একপর্যায়ে তার গর্ভের সন্তানটিকে নষ্ট করতে প্রথমে স্থানীয় জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্স আপত্তি জানান। পরে ঐ চক্রটি মেয়েটির গর্ভের সন্তানটিকে নষ্ট করতে লোক চুক্ষুর আড়ালে চলে যান। তারা এমন ধর্ষনকারীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি প্রদানের দাবি জানান। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আবুল কালাম জামিল কর্তৃক নারিকেল তলা গ্রামে এক কিশোরী ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করে জানান, ধর্ষকের কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার। এ ব্যাপারে ধর্ষনকারীর পিতা মো. আকলুছ মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনাটি জানেন না বলে জানান। এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান কেহ অভিযোগ নিয়ে না আসলে তো পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না। তবে বিষয়টি খোজঁখবর নিয়ে দেখা হচ্ছে। |