ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যু!
জান্নাতুল ফেরদৌসঃ- ঢাকা।
|
সময় নিউজ বিডিঃ রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যু অতিরিক্ত মদ্যপান এবং ধর্ষণের কারণে হয়েছে বলে জানান ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ওয়ালিদ হোসেন। এদিকে এ ঘটনায় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সেলিম রেজা বলেছেন ধর্ষণের কারণে নয়, খাবারে বিষক্রিয়ার ফলেই ইউল্যাবের শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন ও ফরেনসিক বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। অধ্যাপক সেলিম রেজা জানান, ওই শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। তার শরীরে জোরপূর্বক ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। খাবারে বিষক্রিয়ার ফলে তার মৃত্যু হতে পারে। আমরা আলামত সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি। রিপোর্ট এলে আমরা বিস্তারিত বলতে পারব। এঘটনায় রোববার ঢাকা মহানগর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বন্ধু মুর্তুজা রায়হান চৌধুরী (২১) ও নুহাত আলম তাফসীর (২১) এর পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন হিরণ। এর আগে রাজধানীর ইউল্যাব শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মূল অভিযুক্ত রায়হানসহ ২ বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাজধানীর ধানমন্ডিতে বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী মারা যান। পরিবারের অভিযোগ, ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েই তাদের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাত একজনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে ওই ছাত্রীর পরিবার। এবিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, তারা পাঁচ জন বন্ধু মিলে উত্তরায় বামবু রেস্টুরেন্টে গিয়ে মদ্যপান করেন। অতিরিক্ত মদ্যপান করার কারণে তাদের মধ্যে এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন সে বাসায় ফিরে যায়। এরপর আরাফাত (২৮), রায়হান (২১), মাদুল, ও ভিকটিম মেয়েসহ তাদের বন্ধু নুহাত আলম তাফসীরের (২১) বাসায় রাত কাটায়। সেখানে রাতে ভিকটিম মেয়েটার সঙ্গে রায়হানের শারীরিক সম্পর্ক হয়। তাদের মধ্যে পূর্ব থেকে সম্পর্ক ছিল। এক পর্যায়ে ভিকটিম মেয়েটির বমি করতে শুরু করে। তখন তাকে ইবনে সিনায় ভর্তি করানো হয়। ইবনে সিনা রোগীকে রাখার পর অবস্থার অবনতি হলে পাশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। দুদিন চিকিৎসার পর রোববার সকালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়েটা মারা যায়। অন্যদিকে অতিরিক্ত মদ্যপানে তাদের আরেক বন্ধু আরাফাত একই হাসপাতালে শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। হারুন অর রশীদ বলেন আরো বলেন, এ মামলা আগেই দায়ের হয়েছে। দু’জন আসামিকে গ্রেপ্তার কার হয়েছে। আর একজন ছিল আরাফাত। সে তো মারা গেছে। আমরা বিস্তারিত তথ্য খুঁজছি। আমাদের যদি মনে হয়, আরো কেউ এর সঙ্গে জড়িত আছে। তাহলে তাকেও গ্রেপ্তার করা হবে। আমরা দেখার চেষ্টা করছি, মদের সঙ্গে অন্য কিছু মেশানো হয়েছে কিনা। আর যে হোটেলে বসে মদ খেয়েছে তার লাইসেন্স আছে কিনা। উপ-পুলিশ বলেন, যে মারা গেছে তার সবকিছু আমরা পরীক্ষা করেছি। পাশাপাশি যে দুজন আসামি গ্রেপ্তার আছে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আমাদের মনে হয়েছে অতিরিক্ত মদ্যপানে মৃত্যু হয়েছে। আর মদের মধ্যে বিষাক্ত কিছু মেশানো থাকতে পারে। দ্বিতীয়ত অতিরিক্ত মদ্যপান করিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে। |