আন্দোলনকারীরা জানান, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের সব শর্ত (শিক্ষাগত যোগ্যতা জেলা কোটা ও শারীরিক যোগ্যতা) পূরণ সাপেক্ষে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ন্যায় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নার্সিং কোর্সে অধ্যয়নের সুযোগ লাভ করেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাই কাউন্সিলের কম্প্রিহেনসিভ (লাইসেন্সিং/প্রি রেজিস্ট্রেশন) দায়িত্ব পালনের বৈধ নার্স হিসেবে বিবেচিত হয়।
তারা আরও জানান, কিন্তু দুঃখ বিষয় হলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি স্বতন্ত্র পেশা হিসেবে প্রচলিত হলেও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে চতুরতার মাধ্যমে নার্সিং শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। যা একদিকে যেমন দেশের জনগণকে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছে, তেমনি অন্যদিকে নার্সিং শিক্ষা ও সার্ভিসের মান বিনষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একই দাবিতে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিন দিনব্যাপী কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে নবগঠিত নার্সের সংগ্রাম পরিষদ।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ ঘোষণা দেয়া হয়। সভায় নার্সেস সংগ্রাম পরিষদ প্রধান এবং বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএনএ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইসমত আরা পারভীন ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন।