কানাডার দুই অঞ্চল লকডাউন সোমবার থেকে
|
কানাডার টরন্টো এবং পিল অঞ্চলকে সোমবার থেকে লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ সময় জিমনেসিয়াম ও ব্যক্তিগত পরিষেবাসহ অপ্রয়োজনীয় ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। হটস্পট এলাকাগুলোতে হোটেল রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া বন্ধ থাকবে। গতকাল কানাডার অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড এ ঘোষণা দিয়েছে। কানাডায় মহামারির দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে না, বরং উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে। কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে ক্রমবর্ধমানহারে ভাইরাসটি বেড়ে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশ অনটারিও, ব্রিটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা এবং কুইবেকে নাটকীয়ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে হাসপাতাল, নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে ব্যাপকহারে চাপ পড়ছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো কানাডিয়ানদের সতর্ক করে বলেছেন, নিজেদের মধ্য যোগাযোগ হ্রাস না করলে কানাডার ভবিষ্যৎ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বে। শুক্রবার রিডাউ কটেজে তার বাড়ির বাইরে সংবাদ সম্মেলনের সময় ট্রুডো কানাডিয়ানদের বাড়িতে থাকতে অনুরোধ জানান। এর আগে, কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তা ডা. থেরসা ট্যাম সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা যে অবস্থায় আছি, যদি এর উপরে করোনা আরো বৃদ্ধি পায় তবে আমরা আসলেই সমস্যায় পড়ব। উল্লেখ্য, বিভিন্ন প্রদেশের স্থানীয় নীতিনির্ধারকরা একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপিত করছে। আর এই বিধিনিষেধ শুধু অফিস-আদালতেই সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিকভাবে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে স্থানীয়দের একে অপরের বাড়িতে কম যাতায়াত এবং যথাসাধ্য মাস্ক ব্যবহারের আহ্বান জানাচ্ছে। কানাডায় সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি, সরকার থেকে দেয়া বিভিন্ন বিধিনিষেধ সত্ত্বেও করোনাভাইরাস কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রিত করা যাচ্ছে না। একদিকে শীতের প্রকোপ অন্যদিকে করোনাভাইরাসের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। তবুও প্রতীক্ষিত ভ্যাকসিন আর সুদিনের অপেক্ষায় কানাডাবাসী। উল্লেখ্য, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ২৫ হাজার ৭১১ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ১১ হাজার ৪০৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৬০ হাজার ৩৯৮ জন। |