রেকর্ড গড়ে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ‘সেঞ্চুরি’ ও জয়।
|
আজ ২২ জুলাই নিজেদের প্রথম টি২০ ম্যাচে ৮ উইকেটে জয় পেয়েছে বাংলার টাইগাররা। নিজেদের প্রথম, পঞ্চাশতম ও শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলার অনন্য নজির স্থাপন করলো বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে খেলতে নেমে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেঞ্চুরি পূর্ণ করলো বাংলাদেশ। একই সাথে নবম দল হিসেবে একশ টি-টোয়েন্টি খেলতে নামলো মাহমুদল্লাহর নেতৃত্বাধীন দলটি। বাংলাদেশ তাদের নিজেদের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলেছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর খুলনায় মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। জিম্বাবুয়েরও সেটি ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। বাংলাদেশ যেখানে ম্যাচের সেঞ্চুরি পূর্ণ করলো, সেখানে জিম্বাবুয়ে খেলছে ৮৬তম ম্যাচ। বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ছিলেন শাহরিয়ার নাফিস। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছিল ৪৩ রানে। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে মাশরাফি (৩৬ রান ও ১ উইকেট) ছিলেন সেই ম্যাচের নায়ক। ওই প্রথম ম্যাচের মাত্র একজন ক্রিকেটার খেলছেন এই ম্যাচে, সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ এই ফরম্যাটে পঞ্চমতম ম্যাচটিও খেলেছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, সেই খুলনাতেই। ২০১৬ সালের ২২ জানুয়ারি ম্যাচটি হেরেছিল বাংলাদেশ। সেটিই এই ফরম্যাটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের শেষ হার। এরপর চার মুখোমুখিতে প্রত্যেকটি জিতেছে। ৫ বছর পর সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের শততম ম্যাচ। ম্যাচটি হচ্ছে হারারেতে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৪ টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। এছাড়া ১২টি করে খেলেছে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিপক্ষে খেলেছে ১১টি করে। ১০টি খেলেছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬টি করে এবং আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছে যথাক্রমে ৬, ৫ ও ৪টি করে ম্যাচ। ১টি করে ম্যাচ খেলেছে ওমান, কেনিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেপাল, স্কটল্যান্ড ও হংকংয়ের বিপক্ষে। এ ফরম্যাটে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স খুব বেশি ভালো নয়। ১০০ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ৩৩টি, হেরেছে ৬৫টি। ফল আসেনি ২ ম্যাচে। |