রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অস্ত্রসহ আরসাপ্রধানের ভাই আটক
কায়সার হামিদ মানিক,কক্সবাজার প্রতিনিধি।
|
নিউজ ডেস্কঃ কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অস্ত্র ও মাদকসহ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু জুনুনীর ভাই শাহ আলীকে আটক করেছে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। রবিবার ভোর ৪ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিক্তিতে ৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ড্রোন দিয়ে অভিযান পরিচালনা করে পরবর্তীতে তাদেরকে এখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার করার সময় এখানে চোখ বাধা অবস্থায় সাদিকুল নামে একজন ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। সাদি কুলকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় তাকে এখানে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয় এবং টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে না পারলে তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়। পরবর্তীতে এখান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র দেশি অস্ত্র ইয়াবা এবং টাকা উদ্ধার করা হয় বলে ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, মিয়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ আরসার প্রধান আতাউল্লাহ আবু জুনুনী। সম্প্রতি আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন গোয়েন্দা তথ্য পায়- আতাউল্লাহর ভাই শাহ আলী ক্যাম্পে অবস্থান নিয়েছেন। ওই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি কবে থেকে কেন এই ক্যাম্পে অবস্থান নিয়েছেন, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারকৃত শাহ আলীকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উখিয়া থানায় প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা কুতুপালং ক্যাম্পে ব্রাশফায়ারে নিহত হন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের নেতা মুহিবুল্লাহ। আরসার সহযোগিতায় নিজেদের মধ্যকার অন্তর্কলহ বা দ্বন্দ্বের বলি হতে পারেন মুহিবুল্লাহ। এমন সন্দেহ রোহিঙ্গা নেতাদের। তাদের দাবি, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) যা এখন আল ইয়াকিন নামে পরিচিতি। কক্সবাজারবাসীর কাছে যাদের পরিচিতি ‘জঙ্গি বাহিনী। তাদের হাতে কিংবা মিয়ানমারের সরকারের মদদপুষ্ট কেউ এই হত্যায় জড়িত। কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ১৪ এপিবিএন পরিচালিত বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে দুই শতাধিক রোহিঙ্গা নাগরিক গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) নাইমুল হক বলেন, এই পর্যন্ত তথাকথিত আরসা নামধারী ১১৪ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া মাদক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, চোরাচালানে জড়িত, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত আরও ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। |