কলাপাড়ায় বিদ্যালয়ের মাটি বিক্রি করলেন দপ্তরী।
মোয়াজ্জেম হোসেন পটুয়াখালী প্রতিনিধি।
|
নিউজ ডেস্কঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নদী তীর থেকে মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এক দপ্তরীর বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যাবহার করে এমন মাটি বিক্রির অবৈধ কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও ওই দপ্তরীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।
বিষয়টি জানাজানি হলে বর্তমানে নড়েচড়ে বসেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের কর্তারা। তবে দপ্তরীর কর্মরত প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক বলছেন বিষয়টি তিনি অবগত নন। উপজেলার নীলগঞ্জ ইউপির হোসেনপুর গ্রাম সংলগ্ন আন্ধারমানিক নদী তীর থেকে বিভিন্ন ইটভাটায় দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ ভাবে মাটি বিক্রি করছেন একটি চক্র। এদের মধ্যেই একজন খেপুপাড়া সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত খণ্ডকালীন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী মো.মোতালেব মিয়া। বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকের ভাষ্যমতে চাকরি না থাকলেও বর্তামানে তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা সকল জমি জমার দেখভাল করছেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠানের নাম বিক্রি করে নদী তীর থেকে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের মাধ্যমে কাঠা প্রতি ৩ হাজার টাকা দরে ইটভাটায় মাটি বিক্রি করছেন তিনি। স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে প্রভাবশালী ইটভাটার মালিকরা নদীর তীর থেকে একটি চক্রের মাধ্যমে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছ সমুলে ধংস করছে তারা।
হোসেনপুর গ্রামের বাসীন্দা রুহুল আমিন জানান, এই চক্রটি লাগাতার মাটি কাটার ফলে জঙ্গল বিনষ্টের পাশাপাশি কৃষি জমিরও ব্যপক ক্ষতি সাধন করছে। এর ফলে এই এলাকায় বসবাসকারী সাধারণ মানুষ অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
স্থানীয় আনোয়ার হোসেন ফরাজী বলেন, যখন তখন মাটি কেটে নিলেও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। মাটি কাটার ফলে আমাদের রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। এছাড়াও মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হারুন মাঝি জানান, দপ্তরী মোতালেব তার কাছে স্কুলের জমি দেখিয়ে কাঠা ৩ হাজার টাকা দরে মাটি বিক্রি করেছে। তাই মাটি কেটে নিয়েছি।
এবষিয়ে মোতালেব মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,মাটি বিক্রি করলে কি হয়েছে। আমি চর দিয়া মাটি বিক্রি করছি।
খেপুপাড়া সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম জানান, এ বিষয়টি আমি অবগত নই। মোতালেব বর্তমানে খন্ডকালীন দায়ীত্ব পালন করছেন। যদি প্রতিষ্ঠানের জমির মাটি বিক্রি করে থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু হাসনাত মো. শহীদুল জানান, যেহেতু সরকারী প্রতিষ্ঠান সেখানে মাটি বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই। তদন্ত করে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
|