বৃহস্পতিবার রাতে টবগী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে দালালপুর গ্রামের স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ জসিম উদ্দিন হাওলাদার ইউপি সদস্য পারভেজ ঘটনাস্থল গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় গৃহবধু সুমিকে উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করেন। গৃহবধু সুমি লক্ষীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চরকালকিনি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আব্দুল জব্বারের মেয়ে।
হাসপাতালে সুমি আক্তার জানান, ১ বছর আগে বোরহানউদ্দিনের দালালপুর গ্রামের মৃত হাবিবুল্লাহ মিয়ার ছেলে মামুনের সাথে তার প্রেম প্রনয়ে বিয়ে হয়। বিয়ে স্বামী স্ত্রী ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করতেন।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি স্বামী মামুন তার কাছে ১লাখ টাকা যৌতুক দাবী করেন। এনিয়ে দুজনের মধ্যে বিবাধ বাধে। ওই যৌতুকের টাকার বিবাধের জের ধরে স্বামী মামুন পালিয়ে বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে দালালপুর গ্রামের বাবার বাড়িতে চলে আসে। স্বামীর খোঁজে তিনি ২৪ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় স্বামীর বাড়িতে চলে আসেন। মামুনের নির্দেশে পরিবারের সদস্য শাশুড়ি রাজিয়া সুলতানা, দেবর বিল্পবের স্ত্রী নাজমা,মামা শশুর আব্দুর রব ও মামুনের খালাত ভাই জিসান গৃহবধুকে এলোপাতারী মারধর করে গুরুতর জখম করে।পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এক ইউপি সদস্য তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
সুমি আরো জানান, আমি আমার শশুড় বাড়িতে শশুরের ডোকা মাত্র মামুন তার ভাবি নাজমার রুম থেকে পালিয়ে যেতে দেখেছি। ওই ঘরে তার ব্যবহৃত জ্যকেট দেখতে পায়।
টবগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম হাওলাদার জানান, সুমি ও মামুনের বিয়ের কাবিননামা দেখেছি। তাদের বিবাহ হয়েছে। মামুন উপস্থিত না হওয়ায় বিষয়টি মিমাংসা করা হয়নি।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মোঃ শাহিন ফকির জানান, আমি মৌখিক ভাবে শুনেছি। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।