প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে কলাপাড়ার সর্বত্র এখন সাজসজ্জা।
মোয়াজ্জেম হোসেন পটুয়াখালী।
|
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ সোমবার সকাল দশটায় দেশের বৃহত পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উদ্বোধনে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালীতে আসবেন প্রধানমন্ত্রী। ওই দিন দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে শতভাগ বিদ্যুতায়নেরও উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর এ আগমন ঘিরে এখন এ উপেজেলায় বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। নিরাপত্তার চাঁদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নেতাকর্মীদের ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে বিদ্যুত কেন্দ্রে প্রবেশের প্রধান সড়কগুলো। নৌকার তোড়নে সাজানো হয়েছে সড়কের বিভিন্ন স্থান। এছাড়া সিক্সলেন সড়কের প্রধান ফটকে নির্মান করা হয়েছে বর্নিল গেট। এদিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যান্তরের সড়কগুলোও সাজানো হয়েছে রং বেরংয়ের পতাকায়। শেষ হয়েছে সভাস্থলের প্যান্ডেল সাজানোর কাজ। এছাড়া শেখ জামাল, শেখ কামাল ও শেখ রাসেল সেতু বর্নিল আলোয় সজ্জিত করা হয়েছে। কুয়াকাটা পৌরসভাও সাজানো হয়েছে বর্নিল সাজে। পৌর শহরের খাস পুকুর থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত করা হয়েছে আলোকসজ্জা। এছাড়া পৌর শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সাটানো হয়েছে নেতাকর্মীদের ফেস্টুন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালীতে কয়লা ভিত্তিক এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের ভিত্তি প্রস্থর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্মান কাজ শুরুর পর থেকে নানা অনাকাঙ্খিত ঘটনার পরও ২০২০ সালের ১৫ মে প্রথম ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন করে জাতীয় গ্রীডে দিতে সক্ষম হয় (বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কম্পানি লিমিটেড) বিসিপিসিএল। পরে ওই বছরের ৮ ডিসেম্বর আল্ট্রা সুপার প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্বিতীয় ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। কিন্তু গোপালগঞ্জ সাবষ্টেশনের ধারন ক্ষমতা কম থাকায় এবং গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকার আমিন বাজার পর্যন্ত সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ না হওয়ায় দ্বিতীয় ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এখন পর্যন্ত সরবারহ করতে পারছেনা এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
মহিপুর থানা যুবলীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান বুলেট আকন জানান, প্রধানমন্ত্রী কলাপাড়া আসায় আমরা দক্ষিনাঞ্চলবাসী আনন্দিত। প্রধানমন্ত্রীর হাতের ছোয়ায় দক্ষিনাঞ্চলের মাটি সোনায় রুপান্তরিত হয়েছে। এক সময়ের অবহেলিত কলাপাড়াকে জেলা ঘোষনা করা দাবি জানাই।
পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রনয়ন করা হয়েছে। এই নিরাপত্তার মধ্যে কোভিট প্রটোকলও রয়েছে। মাঠে সাদা পোশাকের নিরাপত্তা বাহিনীসহ চার স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
|