বিয়ের দশ দিনের মাথায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন ক্যান্সার আক্রান্ত ফাহমিদা।
নাজমুন নাহার মলি, ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
|
নিউজ ডেস্কঃ সোমবার (২১ মার্চ) সকাল ৭টা ২৩ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরীর মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালে বিয়ের দশ দিনের মাথায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ফাহমিদা কামাল। গত ৯ মার্চ রাতে মেডিকেল সেন্টারের বেডে জীবন-মৃত্যুর সন্নিকটে দাঁড়িয়ে থাকা ভালোবাসার মানুষ ফাহমিদাকে বিয়ে করেছিলেন হাসান। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে গণমাধ্যমসহ সারা দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ফাহমিদা ও বর হাসানের জন্য সবাই দোয়া করতে থাকে এবং দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী তাদের ত্যাগে ও অমর প্রেমের ইতিহাস গড়ায়, তারা প্রশংসায় ভাসতে থাকে। তখন ক্রমাগতভাবে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তার প্রেমিক মাহমুদুল হাসান ৯ মার্চ রাতে হাসপাতালের বেডে তাকে বিয়ে করেন। সেই থেকে হাসান ও তার পরিবার ফাহমিদার পাশে ছিলেন। অবশেষে সবাইকে শোক সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে আজ সোমবার (২১ মার্চ) সকাল ৭টা ২৩ মিনিটে ফাহমিদা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সোমবার বাদ আসর ফাহমিদার নিজ বাড়ি দক্ষিণ বাকলিয়া হাজী আবদুস সালাম মাস্টারের বাড়িতে নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। ফাহমিদার অকাল মৃত্যুতে নগরজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শিক্ষা জীবনেই তাদের পরিচয় হয়েছিল। সেই থেকে পরিণয়ের শুরু। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করা মাহমুদুল হাসান আর ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (ইইউবি) থেকে এমবিএ শেষ করা ফাহমিদা কামাল শিক্ষাজীবন থেকেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা শেষ হলে দুজনে বিয়ে করবে। চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীর ছেলে মাহমুদুল হাসান ও চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ায় পরিবার নিয়ে থাকতেন ফাহমিদা। হঠাৎ করেই শারীরিক সমস্যা অনুভব করতে থাকেন ফাহমিদা। শরীর আস্তে আস্তে খারাপ হতে থাকে। চিকিৎসা করাতে গিয়ে জানতে পারেন, তার শরীরে বাসা বেঁধেছে মরণব্যাধি ক্যানসার। |