পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ৪০ বছর পরে ঐতিহ্যবাহী জীন খাল উদ্ধার।
মোয়াজ্জেম হোসেন কলাপাড়া।
|
পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শত বছরের ঐতিহ্যবাহী জীন খাল উদ্ধারে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার দুপুর তিনটায় পৌর শহরের কাজী নজরুল ইসলাম সড়ক সংলগ্ন ওই খালে গড়ে তোলা প্রথম বাঁধ অপসারনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ উদ্ধার অভিযান।
প্রায় দুই কিলোমিটার এ খালের উপর অবৈধভাবে নির্মিত সকল বাঁধ অপসারন করা হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এদিকে এ খাল উদ্ধার অভিযান শুরুর পরই জনমনে স্বস্তি লক্ষ করা গেছে। খাল উদ্ধার অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক, পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খাইরুল হাসনাত খালিদ ও ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো.কাইউমসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যগণ ও এলাকার উৎসুখ জনসাধারন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৮০ এর দশকে রবিন্দ্রনাথ দাস নামের এক ব্যক্তিকে ভ‚মি অফিসের অসাধু কর্মকর্তারা চাষযোগ্য কৃষি জমি দেখিয়ে ওই খাল বন্দোবস্ত দেয়। সবশেষ বিএস জরিপকারীরা বাস্তবের খালকে ব্যক্তিগত নাল জমি দেখিয়ে আরেক দফা চরম দুর্নীতি করে। পরে রবিন্দ্রনাথ দাস এ খালটিকে স্থানীয় বেশ কয়েকজনের কাছে কিছু অংশ বিক্রি করে দেন। এতে প্রবাহমান খালটিতে পানি ওঠা নামা বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় হাজারো কৃষক। গত ২৮ ফেব্রুয়ারী খালটি বালু দিয়ে পুরোপুরি ভরাটের কাজ শুরু করে চিংগড়িয়া এলাকার রবিন্দ্রনাথ দাস। তাৎক্ষনিক উপজেলা ভ‚মি প্রশাসন ভড়াটের কাজ বন্ধ করে দেয়। এর পর গত ৩ মার্চ কলাপাড়া শহীদ সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরী সড়কে খালটি উদ্ধারে মানবন্ধন করে টিয়াখালী ইউনিয়নের হাজারো কৃষক। এতে টনক নড়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।
পৌর শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা টিুপ মৃধা জানান, প্রায় ৪০ বছর ধরে এ খালটি একটি মহলের কাছে জিম্মি ছিল। আজ উদ্ধার হওয়ায় জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো.শহীদুল হক জানান, এলাকাবাসীর দূর্ভোগ লাঘবে জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মোতাবেক উপজেলা প্রশাসন এবং পৌরসভার যৌথ উদ্দোগে খালটিকে মুক্ত করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এধরণের সরকারি সকল সম্পদ পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত করা হবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম রাকিবুল আহসান জানান, দীর্ঘ ৪০ বছর পর্যন্ত খালটিকে একটি মহল বাঁধ দিয়ে রেখেছে। আজ তা উন্মুক্ত হওয়ায় সাধারণ জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
|