অত্যাধিক গরমে দিশেহারা কলাপাড়াসহ দক্ষিণাঞ্চলীয় নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
মোয়াজ্জেম হোসেন, কলাপাড়া।
|
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। কলাপাড়াসহ দক্ষিন উপকুলের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ। সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায় পটুয়াখালী জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। একটু প্রশান্তির আশায় অনেকেই আশ্রয় নিচ্ছেন গাছ তলায়। এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহে ফেটে চৌচির গ্রামীন মাঠ ঘাট। শুকিয়ে গেছে অধিকাংশ পুকুর নালা। প্রচন্ড খড়ায় দু:শ্চিন্তায় পড়েছেন মৌসুমী সবজি চাষীরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে চর্ম ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। তবে এই অবস্থা আরও কয়েকদিন বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
চাকামইয়া ইউনিয়নের কৃষক বশার মিয়া জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড রোদ পড়ছে। এভাবে রোদ পড়তে থাকলে গাছ পালা পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রোদ্রের খড়তাপে মাঠ-ঘাট ফেটে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা সবজি চাষীরা বড় ক্ষতির মুখে পড়বো। চম্পাপুর ইউপির হেলাল মিয়া জানান, খাল বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু বর্তমানে প্রচন্ড রোদের তাপে অধিকাংশ খাল ও পুকুর শুকিয়ে গেছে। বলতে গেলে বর্তমানে আয় রোজগার অনেকটা কমে গেছে।
কলাপাড়া পৌর শহরের দিনমজুর জব্বার জানান, মঙ্গলবার কলাপাড়া হাটের দিন। সকালে ট্রলারযোগে বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কিছু কাঁচামাল উঠিয়েছি। ট্রলার থেকে এগুলো তুলতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। শুধু গরম আর গরম। ঘেমে একাকার হয়ে গেছি।
টিয়াখালী ইউপির পঞ্চাশোর্ধ্ব রিক্সা চালক কাজেম আলী জানান, এতো রোদের তাপ আগে কখনো অনুভব করিনি। কয়েকদিন পর্যন্ত অসহনীয় গরম পড়ছে। রাস্তায় রিক্সা নিয়ে বেড়োনো দায় হয়ে যাচ্ছে। তারপরও পেটের তাগিদে বের হচ্ছি।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, বৃহস্পতিবারের আগে পটুয়াখালীর উপক‚লীয় এলাকায় বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। এছাড়া পুরো সপ্তাহ তাপপ্রবাহের বর্তমান অবস্থা বিরাজ করতে পারে।
|