পর্যটক বরনে সাজছে কুয়াকাটা সৈকত সহ পর্যটন স্পটগুলো, ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার আশা ব্যাবসায়ীদের।।
মোয়াজ্জেম হোসেন পটুয়াখালী
|
পটুয়াখালী প্রতিনিধি।। বেশ কিছুদিন পর্যটক শুন্য থাকলেও পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি উপলক্ষে নুতন রুপে সেজেছে সাগর কন্যা খ্যাত কুয়াকাটা সৈকত সহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান এবং পর্যটন স্পষ্টগুলো। ইতোমধ্যেই ৮০ শতাংশ বুকিং সম্পন্ন হয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ২শতাধিক হোটেল-মোটেল গুলো। পর্যটক বরনে দেয়া হচ্ছে বিশেষ সুবিধাসহ লোভনীয় অফার। শূন্যতা কেটে পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে কুয়াকাটা সৈকত সহ ঝাউবাগান, ফাতরার বন, কাউয়ার চর, শুটকি পল্লী, লেম্বুরবন, মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দিরসহ পর্যটন স্পষ্টগুলো এমনটাই প্রত্যাশা পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যাবসায়ীদের। কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শেষ মূহুর্তের সাজসজ্জা সহ ধোঁয়া মোছার কাজ করে যাচ্ছেন হোটেল মোটেলগুলো। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। কুয়াকাটা পায়রা ফুডস এন্ড মিনি চাইনিজ’র স্বত্বাধিকারী মো.রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে জানান, বেশ কিছুদিন ধরে ব্যাবসায় মন্দাভাব চলছে। কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। আশা করছি ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের আগমনে ক্ষতি কিছুটা হলেও পুসিয়ে নিতে পারবো।
কুয়াকাটা হোটেল গ্রেভার ইন’র ব্যাবস্থাপক রাকিবুল হাসান জানান, ঈদ উপলক্ষে পর্যটকদের জন্য মেন্যুতে স্পেশাল খাবারের আয়োজন করা হচ্ছে। এছাড়া স্থানীয় রাখাইন শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল অনার্স এসোসিয়েশন’র সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ আজকের পত্রিকাকে জানান, ঈদের ছুটিতে ৫০ হাজার পর্যটকের আনাগোনা ঘটবে বলে আশা করছি। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যেই ৪ এবং ৫ মে’র জন্য বেশিরভাগ হোটেল মোটেলের ৮০ শতাংশ কক্ষ বুকিং সম্পন্ন হয়েছে।
কুয়াকাটা ট্যুর গাইড এসোসিয়েশন’র সভাপতি ও আন্ধারমানিক ট্যুরিজম’র স্বত্বাধিকারী কে এম বাচ্চু আজকের পত্রিকাকে জানান, বেশ কিছুদিন পর্যটক না থাকায় আমরা হতাস। আশা করছি ঈদের ছুটিতে পর্যটক বাড়বে। দর্শনীয় স্থানগুলো নিরাপদে ভ্রমণে আমরা পর্যটকদের জন্য বেশ কিছু অফার দিয়ে রেখেছি।
ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) সভাপতি এবং কুয়াকাটা ইলিশ পার্কের স্বত্বাধিকারী রুমান ইমতিয়াজ তুষার আজকের পত্রিকাকে জানান, পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণে টোয়াক সর্বোচ্চ প্রস্তুত রয়েছে। তিনি আরও জানান, পর্যটকদের জন্য ঈদে ইলিশ পার্কের পক্ষ থেকে বেশ কিছু অফার দেয়া হচ্ছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ’র পরিদর্শক আবু পারভেজ হাসনাইন আজকের পত্রিকাকে জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশে ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও আমাদের জনবল সংকট নিরসনে বরিশাল থেকে অতিরিক্ত ট্যুরিস্ট পুলিশ চাওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে সৈকতের প্রত্যেকটি স্পটে পোশাকধারী টহল পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ তৎপর থাকবে। এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালতে একটি দলসহ চিকিৎসক ও ফায়ার সার্ভিসের টিম মাঠে থাকবে।
কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার জানান, ঈদের ছুটিতে আসা পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণে কুয়াকাটা পৌরসভার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সেবা দেয়া হবে।
কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো.শহীদুল হক আজকের পত্রিকাকে জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়তি পর্যটকদের সেবা দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
|