মহিপুর কো-অপারেটিভ ম্যাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ।।
মোয়াজ্জেম হোসেন কলাপাড়া।
|
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। কলাপাড়ার উপজেলার মহিপুর কো-অপারেটিভ ম্যাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল করে টিনশেড দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মিলন হাওলাদারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় স্কুলের পূর্ব কোনে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবেশদ্বার সংলগ্ন জমিতে স্থাপনা নির্মান করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে এই দোকান ঘর তোলা হয়েছে। এজন্য স্কুলের পাঠদানের পরিবেশ ও সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। দোকানে লোকজন যাওয়া আসার কারনে আমাদের ছেলে মেয়েদের ক্লাসের সময় লেখাপড়ায় অমোনযোগী হয়ে ওঠেছে।
ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জামে মসজিদের ইমাম অভিযুক্ত মাওলানা মিলন বলেন, আমরা স্কুলের জমি দাতা সদস্য। আমার বাবা স্কুলে জমি দিয়েছে। এছাড়া ২০১২ সালে ম্যানেজিং কমিটি মিটিং করে রেজুলেশন করে স্থায়ী ভাবে আমাকে দোকান ঘর নির্মান করার অনুমতি দিয়েছিল। তাই আমি এখানে দোকান ঘর নির্মাণ করেছি। এতে বিদ্যালয়ের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আপনারা নিউজ করলে আমার অনেক ক্ষতি হবে। আপনারা কষ্ট করে এখানে এসেছেন আপনাদের বিষয়টি আমি দেখবো। নিউজ কইরেননা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল সালাম বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের জমিতে অবৈধভাবে দোকান ঘরটি নির্মান করা হয়েছে। বিষয়টি ম্যানেজিং কমিটিকে অবহিত করেছি। তাদের সিন্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্কুলের জমির উপর দোকান ঘরটি নির্মানে তাকে কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাকে বারবার বলা সত্বেও জোড় পূর্বক দোকান ঘরটি নির্মান করা হয়েছে। আমি প্রধান শিক্ষককে এ বিষয় উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য বলেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দিলে বিদ্যালয়ের জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
|