কক্সবাজারে মোর্শেদ হত্যাকান্ড: জড়িত আরও ৪ জন গ্রেপ্তার
কায়সার হামিদ মানিক,কক্সবাজার প্রতিনিধি।
|
নিউজ ডেস্কঃ ইফতার পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখার আকুতি জানিয়েও খুনের শিকার আলোচিত মোরশেদ আলী ওরফে মোরশেদকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫। রোববার (৮ মে) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়। সেচ প্রকল্প নিয়ে বিরোধের জেরে মোরশেদকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মতিউল ইসলাম (৩৪), সাইফুল ইসলাম (৪৫), আজহারুল ইসলাম (৩২) ও জয়নাল আবেদীন (৪৮)। র্যাব বলছে, আসামিরা ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এখনো মামলার প্রধান আসামি আবদুল মালেকসহ বেশিরভাগ আসামি অধরা রয়েছে। র্যাব বলছে, গ্রেপ্তার আসামিরা হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় মোরশেদকে। আসামিদের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, হত্যার আগে মারধর সহ্য করতে না পেরে আকুতি জানিয়ে মোরশেদ বলেন, এখন বেশি ক্লান্ত লাগছে, একটু পর ইফতার করব। ইফতার শেষ করলেই তোমরা আমায় মেরো। তবে আসামিরা তাকে সে সুযোগ দেয়নি। র্যাব সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় ৩০ বছর ধরে গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি তুলে টাকার বিনিময়ে কৃষকদের পানি দিয়ে ব্যবসা করছে গ্রেপ্তার আসামি মাহফুজুল হকের পরিবার। তাদের বিরুদ্ধে কৃষকদের নানা অভিযোগ রয়েছে। তিন মাস আগে সৌদি আরব থেকে এলাকায় আসেন মোরশেদ। তিনি কৃষকদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেওয়ার প্রতিবাদ করেন। এলাকায় প্রতিবাদী যুবক হিসেবে তার পরিচিতি ছিল। তবে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, মোরশেদ সেচ প্রকল্পটি তার নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছিলেন। এ কারণে মাহফুজুলের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। র্যাব কর্মকর্তারা আরও বলেন, ঘটনার দিন দুপুরে একটি সিমেন্টের দোকানে বসে মাহফুজুল মোরশেদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ঘটনার দিন বিকালে মোরশেদ বাসা থেকে বের হয়ে বাজারে গেলে পরিকল্পনা মতো তারা কিরিচ ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। আসামিরা টেকনাফ থেকে ঢাকায় পালিয়ে যাচ্ছে- গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যার কথা স্বীকার করেছে। উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল কক্সবাজার সদরের পিএমখালীর বাসিন্দা মোরশেদ ইফতারি কেনার জন্য স্থানীয় চেরাংঘর স্টেশনে গেলে সেখানে তাকে ঘিরে ধরে প্রকাশ্যে ও দিবালোকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। |