মিথ্যা মামলায় শিক্ষক দম্পতি দিশেহারা।
|
![]()
নিউজ ডেস্কঃ কুমিল্লা লালমাই এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মিথ্যা মামলা করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী বলেন,গত ২০২০ সালে মে ৯ তারিখ লোকডাউন (রমজান মাসে) বিয়ে করি। মেয়ের পক্ষ আমার কাছ থেকে চার লাখ টাকা নেওয়ার পরেও আমাকে রেহাই দেয়নি, গত ১১ মার্চ ২০২১ সালে মেয়ে এবং তার মা বাবা আমাকে ফোন করে কুমিল্লা আসতে বলেন। অতঃপর আমি কুমিল্লা লালমাই আসি এরপর মেয়ে, এবং মেয়ের মা ও মামা সহ ১০/১২ জন লোক আমার বাসা থেকে বেলা ১২ টার দিকে আমাকে ধরে নিয়ে যায়। তার মা ও মামা সহ আমার বাসায় কম্পিউটার,পাসপোর্ট, নগদ ৪০ হাজার টাকা সহ আমার ৩ লাখ টাকা হোন্ডা নিয়ে যায়। আমাকে ধরে নিয়ে কুমিল্লা অশোকতলা রেল গেইট মামার বাসা হত্যার উদ্দেশ্য অনেক মারধোর করে। আমার বাসায় মালিকের ছেলে আমার মা বাবা কে ফোন করে, এবং সেই নিজে আমাকে বাঁচতে সাহায্য করে। তারা তখন পুলিশের কাছে বলে আমি তাদের মেয়েকে ধর্ষণ করছি। পুলিশ এসে আমাকে হসপিটালের ডক্টর দেখানোর পরে, থানা হাজতে রাখে। তখন পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে মেয়ের বাবা আনোয়ার হোসেন,অতিরক্ত আইজিপি মাহবুব স্যারকে দিয়ে ফোন করে বলেন এমন মামলা দিবেন যাতে ২০ বছর জেল হয় ও কাজ না করলে বদলি করে দেওয়া হবে। এরপর বিষয়টি সমঝোতার জন্য এস আই আবদুল রহিম দায়িত্ব নেয়। ৪ লাখ টাকার বিনিময় সমঝোতা করেন। তার পর তালাক দিতে বলে। প্রশ্ন ধর্ষণ করলে তালাক কেন? ভুক্তভোগী সহকারী শিক্ষক মোঃ শাহনেওয়াজ আরও বলেন, তার পর আমার চাকরি টা শেষ করে দিয়েছে। আমার কোচিং বন্ধ করে দিয়েছে। মেয়ে আবারও সরি বলে কথা বলতে থাকে। এর মধ্যে আনোয়ার পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে এসপি দিয়ে ফোন করে আমার বাবাকে অনেক বার থানায় এনে হয়রানি হামলার ভয় দেখান। ফির গত জুলাই ৩ তারিখ মেয়ে আবারও চলে আসে। মেয়ে এক বছরের কল রেকর্ড ও লিষ্ট আছে। এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মেয়ের পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। |