মাউশি’র প্রশ্নপত্র ফাঁস কান্ডে জড়িত সেই গনিত শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত।
মোয়াজ্জেম হোসেন পটুয়াখালী।
|
![]() পটুয়াখালী প্রতিনিধি : মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)’র ৫১৩ কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার পর খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গনিত শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম (৩৫) কে গ্রেফতারের পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মো: আনোয়ার হোসেন তাকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে মাউশি’র কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ঢাকার ইডেন মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে আটক সুমন জোয়ারদার নামে এক চাকুরী প্রার্থীর তথ্যের ভত্তিতে পটুয়াখালী থেকে শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে আটক করে ডিবি পুলিশ। আটকের পর গনমাধ্যমে দেয়া তার স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্যে মাউশি’র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এলাকার এক বড় ভাইয়ের নির্দেশে তিনি উত্তর পত্র লিখে পাঠানোর কথা স্বীকার করেন। যদিও এ ঘটনার সাথে আরও অনেক রাঘব বোয়াল জড়িত বলে দাবী করেছে মহানগর ডিবি পুলিশ।
এদিকে শিক্ষক সাইফুলের আটকের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষকের এ জঘন্যতম অপরাধে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে সাধারন শিক্ষক, অভিভাবক সহ সচেতন মহলে। তাদের দাবী অপরাধী সে যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা উচিৎ। সাইফুল ইসলামের বাড়ী কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের মধুখালী গ্রামে। সে ওই গ্রামের মো. আলতাফ গাজীর ছেলে । ২০১৪ সালে সাইফুল খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চাকুরীতে যোগদান করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত ও এক পুত্র সন্তানের জনক। তার স্ত্রী প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক।
খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ’স্কুল ম্যানেজিং কমিটির মিটিং হয়েছে, এতে শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিক্ষক সাইফুল মায়ের চিকিৎসার জন্য শনিবার একদিনের ছুটি নেয় বলে জানান তিনি।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: মোখলেছুর রহমান বলেন, ’প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আটক অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি প্রধান শিক্ষক তাকে অবগত করেছে।’
কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসিম জানান, ডিবি পুলিশ এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। এ বিষয়ে আমরা তৎপর আছি।
|