আদালতে হাজী সেলিমের আত্মসমর্পণ ।
সাকিব হোসাইন, জবি সংবাদদাতাঃ
|
নিউজ ডেস্কঃ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আত্মসমর্পণের পর দণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মোহাম্মদ সেলিমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক শহিদুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে যেকোনো শর্তে জামিনের আবেদন করেন হাজী মোহাম্মদ সেলিম। আবেদনে হাজী সেলিমের আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালে ওপেন হার্ট সার্জারির সময় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ বাকশক্তিহীন অবস্থায় রয়েছেন হাজী সেলিম। তিনি দেশ ও বিদেশে চিকিৎসা নিয়েছেন। জেলে থাকলে চিকিৎসার অভাবে ও বাকশক্তি না থাকায় যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণে যেকোনো শর্তে তার জামিন আবেদন করছি। জামিন পেলে তিনি পলাতক হবেন না। তাই আপিল শর্তে আত্মসমর্পণপূর্বক তার জামিন আবেদন করছি।” হাজী সেলিমের ছেলে সোলাইমান সেলিম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, পুরান ঢাকার মাটি ও মানুষের নেতা, স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা হাজী মো. সেলিম আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আজ নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং জামিনের আবেদন জানান। এ সময়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। মহামান্য আদালতের কাছে আবেদন থাকবে তার তৃতীয় আবেদন মঞ্জুর করে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার সুব্যবস্থা করা হোক। ” সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছিল দুদক। এরপর দুদক মামলাটিতে চার্জশিট দাখিল করে। জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে প্রায় ২৬ কোটি ৯২ লাখ ৮ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন ও প্রায় ১০ কোটি ৪ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগের এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল রায়ে তার একটি ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপর ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জনে হাজী সেলিমকে সহযোগিতা করার দায়ে তার স্ত্রী গুলশান আরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম ও তার স্ত্রী গুলশান আরা বেগম এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট ১৩ বছরের সাজা বাতিল করে রায় দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক। আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে হাজী সেলিমের আপিল পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সেই নির্দেশনার আলোকে গত বছর ৯ মার্চ হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায় বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন।। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, |