কক্সবাজারের পেকুয়ায় চোলাই মদের কারখানা ধ্বংস!!
কায়সার হামিদ মানিক,কক্সবাজার প্রতিনিধি।
|
নিউজ ডেস্কঃ কক্সবাজারের পেকুয়ায় অভিযান চালিয়ে চোলাই মদ তৈরির ৮-১০ টি ছোট-বড় কারখানা, বিপুল মদ তৈরির উপকরণ ও সরঞ্জাম ধ্বংস করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় বিক্রির জন্য মজুত করা ৫৪ লিটার চোলাই মদ জব্দ করে পুলিশ। বুধবার রাতে পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালী গ্রামের রাখাইন পাড়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহুল চন্দ এ অভিযান চালায়। এসময় বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদিউল আলম, সচিব আবু তৈয়ব, ইউপি সদস্য আনিসুল করিম, রেজাউল করিম ও একদল পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ করিম বলেন, রাখাইন পাড়ায় কয়েকজন বাসিন্দা বেশ কিছুদিন ধরে চোলাই মদ তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিলো। এতোদিন তারা পেকুয়া, কুতুবদিয়া ও বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তা সরবরাহ করছিলো। সম্প্রতি পাহাড়িয়াখালী গ্রামে মাদকাসক্ত ব্যক্তির সংখ্যা আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেলে তা সকলের নজরে আসে। বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদিউল আলম বলেন, বুধবার রাতে বেশ কয়েকজন যুবক মদ খেয়ে মাতলামি করতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা রাখাইন পাড়া ঘিরে রাখেন। পরে আমরা জনপ্রতিনিধিরা ও পুলিশের সদস্যরা সেখানে গিয়ে মদের কারখানা গুলো আবিষ্কার করি। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহুল চন্দ ঘটনাস্থলে গিয়ে চোলাই মদ তৈরির উপকরণ ও সরঞ্জাম ধ্বংস করেন। পেকুয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ফরিদ উদ্দিন বলেন, রাখাইন পাড়ায় ৮-১০টি ঘর থেকে অন্তত পাঁচ হাজার লিটার চোলাই মদের কাঁচামাল উদ্ধার করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্বে এসব কাঁচামাল, চোলাই মদ উৎপাদনে ব্যবহৃত ৫৪ টি ড্রাম, ২১ টি বালতি ও ৩২ টি পাতিল ধ্বংস করা হয়েছে। একইসাথে বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুদ রাখা ৫৪ লিটার চোলাই মদ জব্দ করা হয়। এব্যাপারে পেকুয়া উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহুল চন্দ বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজন পরিমিতভাবে চোলাই মদ উৎপাদন ও পান করতে পারেন। কিন্তু বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে উৎপাদন করায় চোলাই মদের কারখানা ও কাঁচামাল ধ্বংস করা হয়েছে। পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরহাদ আলী বলেন, চোলাই মদ জব্দের ঘটনায় আইনিপদক্ষেপ নেয়া হবে। |