মাদ্রাসার জমি দখল করে গোয়াল ঘর নির্মাণের অভিযোগ।।
মোয়াজ্জেম হোসেন পটুয়াখালী।
|
পটুয়াখালী প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম গাববুনিয়া দাখিল মাদ্রাসার জমি দখল করে গোয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মামুন গাজীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসার সুপারের যোগসাজসে মাদ্রাসা সম্পত্তিতে মাদ্রাসার ছাত্রীদের জন্য নির্মিত টয়লেট ও টিউবওয়েল এর মধ্যবর্তী জায়গায় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মামুন গাজী গরুর ঘর এবং খড়ের কুড় নির্মাণ করেছেন।
বর্তমানে মাদ্রাসার জন্য বাউন্ডারি ওয়াল এবং ৪ তলা একটি ভবন অনুমোদন হলেও মামুন গাজী উক্ত বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণে বাধা সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মাদ্রাসার সুপার মাদ্রসার নামে ১ একর জমির দলিল থাকলেও মামুন গাজীর অবৈধ দখলে থাকা ৩৩ শতাংশ জমি বাদ দিয়েই শুধুমাত্র ৫৮ শতাংশ জমির মধ্যে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।
এ ব্যাপারে রাংগাবালী থানায় অভিযোগ দেয়া হলেও কোন কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি । গত ১৯/০৫/২০২২ ইং তারিখ রাংগাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে মাদ্রাসার জমি রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করা হলে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বড়বাইশদিয়া ইউ.পি তহসিলদার সাইফুল ইসলামের বরাবরে তদন্তের ভার অর্পণ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক অভিভাবক এ বিষয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এবিষয় অভিযুক্ত মামুন গাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদ্রাসার ভবন মাদ্রাসার জায়গা জমিতে উঠাবে। আমি গরু ঘর উঠাইছি, কুটার কুর দিয়েছি আমার জায়গায়। ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার তদন্ত করেছে। তদন্ত রিপোর্ট আমার পক্ষে জমি আমার দখলে । আমি আর কিছু বলতে পারবোনা আপনাদের এতকিছু জানার ইচ্ছা থাকলে এখানে এসে জানেন।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ইলিয়াস বলেন, জমিজমা নিয়া মামুন গাজীর সাথে বিরোধ আছে। সেই ব্যাপারে মাপজোক চলছে। মাপার পরে জানা যাবে।
উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার অনাদি কুমার বাহাদুর বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমিতে কোনো ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা যাবে না। বিষয়টির খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
|