ফকিরহাটে শিরিস গাছে গলায় রশিদিয়ে এক ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা।
রাকিবুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি।
|
![]() নিউজ ডেস্কঃ ফকিরহাটের টাউন নওয়াপাড়া এলাকায় সমিতি থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তির টাকা যোগাড় করতে না পেরে গনেশ দে(৬৫) নামের এক ব্যবসায়ি গলায় রশিদিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার দিবাগত রাত ৩টার পর কোনএক সময় বাড়ির পাশের একটি শিরিশ গাছে গলায় রশি দিয়ে ঝুলে থাকে।
মঙ্গলবার সকালে পাশ্ববর্তা লোকজন গাছে ঝোলা নিথর দেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়। নিহত গনেশ দে কালিপদ দের ছেলে। ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মু. আলিমুজ্জামান
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থাল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামালা দায়ের হয়েছে।
নিহতের বড় ছেলে উজ্বল দে বলেন, করোনাকালিন সময়ে আমরা সকলে বেকার হয়ে পরি। সংসার চালাতে বাবা আমাদের না জানিয়ে কয়েকটি সমিতি ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে
ছিলেন। ভ্যানে করে গ্রাম থেকে কাগজ, নারকেলের পাতার সলাসহ বিভিন্ন জিনিস কিনে বিক্রি করে প্রতি সপ্তাহে ৫-৮হাজার টাকার কিস্তি চালাতেন। মঙ্গলবার আশা সমিতিতে ১৬শ টাকার কিস্তি ছিলো। শারিরিক অসুস্থ্যতার জন্য কয়েকদিন কাজে যেতে না পারায় কিস্তির টাকা যোগাড় করতে পারেনি। হতাশানিয়ে রাতে খাবার না খেয়ে শুয়ে পড়ে।
ছোট ছেলে উৎপল দে বলেন, রাত ৩টার পর কোন এক সময় আমাদের অজান্তে বাবা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। সকালে ঘুমু ভাঙ্গে প্রতিবেশিদের ডাক চিৎকারে। গিয়ে দেখি বাবার নিথর দেহ।
করোনা কালিন ও পরবর্তী সময় যেন আমাদের জিবনকে দুঃবৃসহ করে তুলেছে। ঋণের বোঝা কেড়ে নিয়েছে বাবাকে।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক এনজিও (সমিতির) কর্মিগন বলেন, অসচ্ছলতার জন্য দরিদ্র মানুষ ঋণ নেয়। এ বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা কাজ করি। আমরা তাকে কখনোই কিস্তি দেওয়ার বিষয়ে চাপ প্রয়োগ করিনি। এমন অনাকাঙ্খিত মৃত্যু সত্যিই আমাদের কাছে কষ্টের বিষয়।
|