পটুয়াখালীর মহিপুরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বিক্ষুব্দ জনতার থানা ঘেরাও।।
কলাপাড়া প্রতিনিধি।
|
নিউজ ডেস্কঃ পটুয়াখালীর মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সংহিসহতার মামলায় প্রার্থীর ভাইকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে থানাভবন ঘেরাও করে রাখে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী ও তার সর্মকরা। এ ঘটনায় পুলিশসহ ২১জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার দুপুর ১২ টা থেকে প্রায় তিন ঘন্টা পর্যন্ত এনিয়ে বিক্ষুব্ধ সমর্থক এবং পুলিশের মধ্যে দফায় আলোচনা হয়। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টা পর শেষ পর্যন্ত লাঠিচার্চ এবং পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিক্ষুব্ধ সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের লাঠিপেটার জবাবে এসআই আঃ হালিমসহ পুলিশ সদস্য যথাক্রমে মিলন, ওবায়দুল, আবজাল এবং নারী কনেস্টবল শীলা ও নাসরীন আহত হন। এসময় পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্চে দুই নারীসহ অন্তত ১৪জন বিক্ষুব্ধ সমর্থক আহত হয়েছেন। এরা হলেন আঃ রাজ্জাক, রাজা মিয়া, দুলাল, মনির মোল্লা, মনিরুজ্জামান, কাদের মাঝী, মিলন বেপারী, ওবায়দুল্লাহ, ইলিয়াস, রায়হান, মোসলেম, মজিদ, ইউসুফ, নারী সমর্থক বিউটি ও সাফিয়া। এদেরকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহত সাফিয়া বলেন, একজন নিরপরাধ লোককে থানায় ধরে নিয়ে এসেছে। আমরা এর শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ স্বরূপ থানার সামনে অপেক্ষমান ছিলাম। পুলিশ অতর্কিত আমাদের ওপর লাঠিপেটা করেছে। এদিকে আহত পুলিশের এসআই হালিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ওসি আবুল খায়ের। তিনি আরও জানান, কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সংহিসতার মামলায় মোঃ খলিল নামে এক আসামীকে গ্রেফতারের পর তার ভাই পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আঃ জলিলের নেতৃত্বে তিন শতাধিক নারী পুরুষ তাকে মুক্ত করতে থানাভবন ঘেরাও করে। পরে তাদের সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আঃ জলিল ঘরামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নে উত্তেজনা বিরাজ করছে। |