ব্রিজ নয়, এ যেন মরণ ফাঁদ।।
মোয়াজ্জেম হোসেন, পটুয়াখালী।
|
পটুয়াখালী প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের চর সুহরী গ্রামের আয়রন ব্রিজটির পাটা ও ভিম ভেঙ্গে মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ব্রিজটির উপর দিয়ে প্রতি নিয়ত চার গ্রামের প্রায় ২ থেকে প্রায় আড়াই হাজার মানুষ চলাচল করছেন। সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী এই ব্রিজটি দিয়ে ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে কোমল মতি শিশু থেকে বৃদ্ধ মানুষ।
জানা গেছে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর ১৯৯৯ সালে গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নে ০১ নং ওয়ার্ডে মধ্যেবর্তী চর সুহরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ওপারে মোল্লা বাড়ি সরকারী কমিউনিটি ক্লিনিক। ঐ ব্রিজটি দিয়ে স্কুল, হাসপাতাল এবং পথচারীরা চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। চর সুহরী সুহরী, চর হরিদেবপুর, কিসমত হরিদেবপুর এবং সুহরী নিচ চর এই পাঁচ গ্রামের লোকের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এ ব্রিজটি।
চর সুহরী গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ তালেব প্যাদা বলেন, ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে সড়কের মোটর সাইকেল সহ সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জরুরী কোথাও যাওয়া ও রোগী বহন করা এখন খুবই কষ্ট সাধ্য ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। ব্রিজটির এখন এমন অবস্থা হেটে পার হওয়াটাও খুবই কষ্টকর। যে কোন মূহুর্তে ঘটে যেতে পারে দূর্ঘটনা। পাঁচ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে ব্রিজটি সংস্কার বা নতুন করে নির্মান করা একান্ত প্রয়োজন।
০২নং গোলখালী ইউনিয়ন পরিষদের ০১ নং ওয়ার্ডের ইউ পি সদস্য মোঃ দুলাল প্যাদা বলেন আমার এলাকার রাস্তা ঘাটের মাটির কাজ করেছি। সেইসাথে হাসপাতাল ও সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে এর মাঝখানে ভাংঙ্গা ও জরজীর্ন এই ব্রিজটি যদি অতিসত্ত্বর নির্মান করা হত তবে এলাকাবাসীর চলাচলে সুবিধা হত।
এ বিষয়ে গোলখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, ব্রিজটি সংস্কার অথবা নতুন করে নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে যোগাযোগ করেছি। ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে এই এলাকার প্রায় পাঁচ গ্রামের মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চাহিদা দেয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই ব্রিজটির কাজ শুরু হবে।
|