আরসা কমান্ডার হাসিমের সহযোগী মোহাম্মদ শাহ নিজ গ্রুপের গুলিতে নিহত।
কায়সার হামিদ মানিক,কক্সবাজার প্রতিনিধি।
|
নিউজ ডেস্কঃ কক্সবাজারের উখিয়া ১৭ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিহত মোহাম্মদ শাহ(৩৫) ১৭ নং ক্যাম্পের এ ব্লকের সাব ব্লক এইচ/৮৪ এর আব্দুল্লাহর ছেলে। বুধবার সন্ধ্যায় ক্যাম্প-১৭ এর-এ/এইচ/৮৪ ব্লকের তথাকথিত আরসা কমান্ডার মোহাম্মদ শাহ নামের একজন রোহিঙ্গা নিজ গ্রুপের গুলিতে গলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক নাঈমুল হক পিপিএম জানান,বুধবার মাগরিবের নামাজের আগে ক্যাম্প ১৭ এর ব্লক ৯৪ এর একটি দোকানের সামনে মোহাম্মদ শাহ আরও কয়েকজনের সাথে আড্ডা দিচ্ছিল। কিছুক্ষণ পর তার সাথের লোকজন তার গলায় গুলি করে পালিয়ে যায় বলে জানা যায়। উল্লেখ্য যে মোহাম্মদ শাহ কিছুদিন আগে তথাকথিত আরসা সেকেন্ড-ইন-কমান্ড শীর্ষ সন্ত্রাসী হাশিমের সহযোগী ছিল। হাসিম অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের দ্বারা নিহতের পর মোঃ শাহ মিয়ানমারে পালিয়ে যায়। হাসিম এর মৃত্যুর পিছনে তার হাত থাকতে পারে বলে আরসার সদস্যরা শুরু থেকে সন্দেহ পোষণ করে আসছে। মোহাম্মদ শাহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক প্রস্তুতকৃত তথাকথিত দুষ্কৃতিকারী লিস্টের ক্যাম্প ১৭ এর শীর্ষ দুষ্কৃতিকারী। দীর্ঘদিন মিয়ানমার এবং জিরো পয়েন্ট এলাকায় লুকিয়ে ছিল। কিছুদিন আগে সে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফিরে আসে এবং তখন থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে আসছিল। রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে উখিয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দে বলেন, ক্যাম্পে গুলিতে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন। হামলাকারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। এ বিষয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি নুরুল আমিন জানান, তার ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মোহাম্মদ শাহ নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে খবর পেয়েছি তার সঙ্গে আরসার (আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি) জনগোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব ছিল। এর আগে কুতুপালং ক্যাম্পের ২ ইষ্ট ব্লকে মুন্না গ্রুপ ও আরসা গ্রুপের মধ্যে গুলাগুলির ঘটনায় ছলিম উল্লাহ নিহত হয়।বালুখালী ক্যাম্পে গত শুক্রবার রাতে ৪ নং ক্যাম্পের মোঃ সেলিম নিহত হয়। এছাড়াও আরসা গ্রুপের সন্ত্রাসীরা গুলি করে হেড মাঝি আজিম উল্লাহ কে হত্যা করে।দুই সপ্তাহের মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবারও খুনের ঘটনা ঘটেছে। এঘনা নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাধারণ রোহিঙ্গারা আতংকে দিন কাটছে বলে রোহিঙ্গা নেতা মোঃ নুর জানিয়েছেন। |