পবিত্র হজ শুরু, মিনায় ছুটছেন হাজিরা
|
হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। প্রায় দশ লাখ মানুষ এবার হজে অংশ নিয়েছেন। বুধবার (৬ই জুলাই) ইসলামের পবিত্রতম স্থান কাবা শরিফ তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ বছরের হজ। বৃহস্পতিবার (৭ই জুলাই) মিনার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন হাজযাত্রীরা। ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার প্রখর গরম এড়াতে অনেকেই ছাতা ব্যবহার করছেন। আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সকালেই হাজিরা মক্কা থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরের মিনার উদ্দেশে যাত্রা করেন। সেখানে রাতে তারা অবস্থান করবেন। এরপর শুক্রবার (৮ই জুলাই) আরাফাত ময়দানে সমবেত হবেন। এটাই হবে হজের প্রধান আনুষ্ঠানিকতা। এ ময়দানেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। হাজিদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মক্কা ও মদিনায় হাজিদের জন্য ২৩টি হাসপাতাল ও ১৪৭টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু করেছে। এ ছাড়া মিনাতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে চারটি হাসপাতাল ও ২৬টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের জন্য প্রায় ১ হাজার শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ২৫ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী। মিশর থেকে যাওয়া হাজী ফাতেন আবদেল মোনিয়েম (৬৫) আরব নিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত সবকিছু ভালোভাবেই চলছে। আমি আশপাশে ঘুরে দেখেছি এবং সবাই নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। নাইমা মোহসিন (৪২) নামে মিসরের আরেক হাজী বলেন, এখানে আসতে পারা আমার সঙ্গে ঘটা সবচেয়ে ভালো ঘটনা। বাকি কাজের জন্য অপেক্ষা সহ্য হচ্ছে না। আমার একমাত্র সমস্যা আবহাওয়া। অতিরিক্ত গরম। এ বছর হজে যোগ দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন প্রায় ১০ লাখ মুসলিম। পূর্ণ টিকা নেয়া এসব মুসলিমের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৮ লাখই বিদেশি নাগরিক। করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর সীমিত পরিসরে হজ পালন করা হয়। দুই বছর পর এবারই বড় পরিসরে হজের আয়োজন করা হয়েছে। ২০১৯ সালে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ হজে যোগ দেয়। তবে পরের বছরগুলোতে মহামারির কারণে সীমিত করতে হয়। ২০২১ সালে মাত্র সৌদি আরবের মাত্র ৬০ হাজার টিকা নেয়া বাসিন্দা হজের সুযোগ পায়। ২০২০ বছর তার চেয়েও কম সংখ্যক মানুষ সেই সুযোগ পায়। |