মাদক থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না আসলে ভয়াবহ পরিণতি…. স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
|
মাদক নির্মূল ও সন্ত্রাস দমনে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অতীতে যেভাবে সহিংসতা ও নাশকতা নির্মূল করা হয়েছে, তেমনিভাবে যেকোনো ধরনের সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান দৃঢ়। মাদক ও সন্ত্রাস দমনে সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণাসহ সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা এখনও মাদক পেশায় আছেন তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না আসলে তাদের ভয়াবহ পরিণতি হবে। আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসলে সরকার তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। মঙ্গলবার (১৯শে জুলাই) বিকেলে বগুড়া জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ লাইন্স মাঠে সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা মাদকের ভয়াল থাবা থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে চাই। আমাদের এই প্রজন্ম যদি পথ হারিয়ে ফেলে তাহলে দেশের স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের এখন সব ধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন থাকবেন ততদিন বাংলাদেশ আলোকিত থাকবে। আর শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে এবং মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূল করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান, বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবর রহমান ও বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল করিম, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক, পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী এবং বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সদস্য সচিব ও পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহাদাৎ আলম ঝুনু। এ সময় রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশের উর্ধবতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধিসহ সব স্তরের প্রায় ২০ হাজার মানুষ এ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান প্রধান অতিথি হিসেবে ৫০ জন পুরুষকে ৫০টি ভ্যান ও ১৫ জন নারীকে ১৫টি সেলাই মেশিন হস্তান্তর করেন। এই ৬৫ জন নারী পুরুষ সবাই মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তারা মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অঙ্গীকার করেছেন। |