রনিল বিক্রমাসিংহে শ্রীলংকার নতুন প্রেসিডেন্ট
এস এম আওলাদ হোসেন
|
শ্রীলংকার পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) নেতা রনিল বিক্রমাসিংহেকে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। ২১৯ ভোটের মধ্যে তিনি পেয়েছেন ১৩৪টি ভোট। ভোট গণনা শেষে বুধবার (২০শে জুলাই) দুপুরে তাকে জয়ী ঘোষণা করেন দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার। শ্রীলংকার সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর অনলাইন জানিয়েছে, ১৩৪ ভোট পেয়ে রনিল বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এসএলপিপি’র নেতা দুল্লাস আলাহাপেরুমা পেয়েছেন ৮২ ভোট। আর বামপন্থি ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ারের অনুরা কুমারা দিসানায়েক পেয়েছেন মাত্র ৩ ভোট। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, বুধবার সকাল ১০টায় পার্লামেন্টে আনুষ্ঠানিক ভোটদান শুরু হয়। পার্লামেন্টের মোট ২২৫টি আসনের বিপরীতে দুজন সংসদ সদস্যের একজন পার্লামেন্টে উপস্থিত হননি। আরেকজন পার্লামেন্টে উপস্থিত থেকেও ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন। সংসদ সদস্যদের উপস্থিতিতে পার্লামেন্টের সেক্রেটারি-জেনারেল ২২৩টি ভোট যাচাই-বাছাই শুরু করেন। সে সময় চারটি ভোট বাতিল হয়ে যায়। বাকি ভোটগুলো গণনার ভিত্তিতে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়। উল্লেখ্য, গত মে মাসে অর্থনৈতিক সংকটের জেরে জনগণের তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন মাহিন্দা রাজাপাকসে। আর গত সপ্তাহে তীব্র বিক্ষোভের মুখে বাড়ি ছেড়ে পালান তার বড় ভাই শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। শুরুতে মালদ্বীপ ও পরে সিঙ্গাপুর পালিয়ে যান তিনি। গোতাবায়া রাজাপাকসে সিঙ্গাপুর পৌঁছানোর পর আনুষ্ঠানিকভাবে তার পদত্যাগপত্র শ্রীলংকার প্রেসিডেন্টের নিকট হস্তান্তর করেন। তারপর দেশটির সংবিধান অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে অন্তবর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে সাতদিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেন স্পিকার। রনিল বিক্রমাসিংহে ১৯৯৩ সালের ৭মে থেকে ১৯৯৪ সালের ১৯ আগস্ট, ২০০১ সালের ৯ ডিসেম্বর থেকে ২০০৪ সালের ৬ এপ্রিল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১৫ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মাহিন্দা রাজাপাকসেকে পরাজিত করার পর ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি মৈত্রীপাল সিরিসেন কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। |